২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তিন ইনিংসে ৬, ৭ ও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এনামুল হক জুনিয়র। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টানা দুই ইনিংসে ৫ ও ৬ উইকেট নেওয়ার পর দেশে ফিরে পরের ইনিংসেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।
এবার তাইজুলের সামনে আরও বড় বড় রেকর্ডের হাতছানি।
প্রথমটি হলো, দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৫ উইকেট নিলেই টানা চার ইনিংসে ৫ উইকেটের রেকর্ড এককভাবে নিজের করে নেবেন। দ্বিতীয়টি, দ্বিতীয় ইনিংসে আর চারটি উইকেট নিলেই দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। পেছনে ফেলবেন ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজের ১৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তিকে।
আর সবশেষটি হলো, আর তিন উইকেট পেলেই গড়বেন বাংলাদেশের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট প্রাপ্তির রেকর্ড। ২০০৩ সালে ৩৩ উইকেট নিয়ে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক।
এতগুলো রেকর্ডের সামনে দাঁড়ানোর পরেও তাইজুলকে খুব বেশি উচ্ছ্বসিত মনে হলো না। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সংবাদ মাধ্যমের সামনে যথারীতি নিচু স্বরেই কথা বলেছেন।
‘আসলে উইকেটের অবস্থাটা এমন, যদি ডিসিপ্লিন ধরে রেখে বল করতে পারি, তাহলে অসম্ভব কিছুই না। আমি আশাবাদী। ’
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিয়েছেন তাইজুল। এর আগে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ ও ৫ উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম