ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

২১৮ রানের জয় বাংলাদেশের, সমতায় সিরিজ নিষ্পত্তি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
২১৮ রানের জয় বাংলাদেশের, সমতায় সিরিজ নিষ্পত্তি ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

পঞ্চম ও শেষ দিন যতটা দ্রুত জয়ের আশা দেখেছিল বাংলাদেশ, ততটা সহজে তা পায়নি স্বাগতিকরা। ৪৪৩ রানের লক্ষ্যে বেশ ভালই লড়েছে জিম্বাবুয়ে। তবু ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়িয়ে ২১৮ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবু সহজ ম্যাচকে কঠিন করে জেতার জন্য বাংলাদেশ দল অভিনন্দন পেতেই পারে। 

চতুর্থ দিনের শুরুতে অনেকেই ভাবতে শুরু করে দেয় জিম্বাবুয়েকে ফলোঅনে পাঠাবে স্বাগতিকরা। কিন্তু বাংলাদেশের পরিকল্পনায় ছিল স্কোর বড় করা।

তাইতো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে যায় লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। তবে পুরো টেস্ট সিরিজের চিত্রই যেন রিপিট টেলিকাস্ট। আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার।  

তবুও মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহর শতরানের জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় লড়াকু সংগ্রহ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর শতরান ও শেষের দিকে মেহেদি হাসান মিরাজের ২৭ রানে ভর করে বাংলাদেশ পায় ৪৪৩ রানের লিড।  

ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালোই এগোতে থাকে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটেই পড়ে যায় অতিথিরা। তবে মনোবল হারায়নি তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) পঞ্চম ও শেষ দিনের শুরুটাও বেশ ভালো করে জিমাবুয়ে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আর নিজেদের সামলাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। মিরাজ-তাইজুল-মোস্তাফিজদের আঘাতে এক সময় হার মানতে বাধ্য হয় জিম্বাবুয়ে। দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়।  

৮৩.১ ওভার লড়াই করে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২২৪ রানে। ব্রেন্ডন টেলর দলীয় সর্বোচ্চ ১৬৬ বল খেলে ১০২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আগের দিন মিরাজ ও তাইজুলে ফেরেন অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও ব্রায়ান চারি।  

ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

পঞ্চম দিনের নবম ওভারে প্রথম সাফল্য পান মোস্তাফিজুর রহমান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে না খেলা মোস্তাফিজের দ্বিতীয় টেস্টে এটিই প্রথম উইকেট। বাঁহাতি এই কাটার মাস্টারের  ভেতরে ঢোকা বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে ফেরেন উইলিয়ামস। আউট হয়ে ফেরার আগে ৩৩ বলে ১৩ রান করেন উইলিয়ামস।  

নিজের বলে নিজেই ক্যাচ লুফে নিয়ে সিকান্দার রাজাকে সাজঘরে পাঠান তাইজুল। ইনিংসের ৪৮তম ওভারের বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে ঠিক কতো ব্যাটে না লাগাতে পারায় ক্যাচ যায় বোলারের কাছে। ইনিংসে এটি তাইজুলের দ্বিতীয় ও ম্যাচে সপ্তম উইকেট। সিরিজে বাঁহাতি এই স্পিনার মোট ১৮টি উইকেট নিজের করে নেন।

ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

দলীয় ১২০ রানে সিকান্দার রাজা ফেরার পর পিটার মুরকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ব্রেন্ডন টেইলর। তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই বিদায় নেন মুর। ৭২তম ওভারে মিরাজের বলে ডিফেন্স করতে যেয়ে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় শর্ট লেগে। প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হলেও শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় চেষ্টায় ধরে ফেলেন বলটি। ভাঙ্গে টেইলর-পিটারের ৬৬ রানের জুটি।   

৭৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজের করা বল মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে রানের জন্য দৌড় দেন টেইলর। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা রেগিস চাকাভা স্ট্রাইক এন্ডে পৌছানোর আগেই মুমিনুলের থ্রো লুফে নিয়ে স্টাম্প ভেঙ্গে দেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ফেরেন চাকাভা।  

ম্যাচ তখন অনেকটাই বাংলাদেশের দিকে। এরপর আর তেমনভাবে দাঁড়াতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যানই। তিরিপানো ও মাভুতা শূন্য ও জারভিস এক রানে বিদায় নিলে ২১৮ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।

ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাইজুল নেন দুই উইকেট ও এক উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮

এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।