আর এই টেস্টে একাধিক রেকর্ডের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। সিরিজের প্রথম টেস্টে সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হক-তাইজুল ইসলামদের জন্য অপেক্ষা করছে একাধিক রেকর্ড।
হাতের ইনজুরি কাটিয়ে এই সিরিজ দিয়েই আবারও বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিরছেন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর এই সিরিজের চট্টগ্রাম টেস্টে বল হাতে সাকিবের জন্য অপেক্ষা করছে এক রেকর্ড। এই টেস্টে যদি তিনি আর মাত্র ৪ উইকেট তুলে নিতে পারেন তবে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মালিক হবেন তিনি।
সাদা পোশাকে ৫৩ ম্যাচে সাকিবের বর্তমান উইকেট সংখ্যা ১৯৬। তার পেছনে থাকা মোহাম্মদ রফিকের উইকেট সংখ্যা ১০০। এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার হবেন টেস্ট ইতিহাসের ১৪তম খেলোয়াড়, যিনি টেস্টে ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের মালিক।
জিমাবুয়ের সঙ্গে সরশেষ টেস্টে প্রথম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল হাঁকানো মুশফিকও আছেন দুটি মাইলফলকের সামনে। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রান করতে তার প্রয়োজন আর মাত্র ৩১ রান। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম টেস্টে মাত্র ৮১ রান করতে পারলেই টেস্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়ে যাবেন মুশফিক।
বর্তমানে ৪ হাজার ৪৯ রান নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে আছেন তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম টেস্ট তামিম দলে না থাকায় মুশফিকের সামনে আছে এই মাইলফলক ছোঁয়ার বড় সুযোগ।
সাকিব-মুশফিক ছাড়াও মুমিনুলও হতে পারেন এক রেকর্ডের মালিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬১ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত করেছেন ৮৬৯ রান। ক্যারিয়ারের সাত টেস্ট সেঞ্চুরির পাঁচটিই করেছেন চট্টগ্রামের এই মাঠে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংসে আর ১৩১ রান পেলেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে চট্টগ্রামে এক হাজার রান হবে মুমিনুলের। এই স্টেডিয়ামে মুশফিকের নামের পাশে আছে ১,০৯২ রান। সুযোগ আছে মুশফিককে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন তাইজুল ইসলাম। তিনিও এই টেস্টে করে ফেলতে পারেন দারুণ এক কীর্তি। আর ১৩ উইকেট পেলে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেট হবে তার। তাইজুলের সামনে ১০০ উইকেট নিয়ে আছেন মোহাম্মদ রফিক ও ১৯৬ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
এমকেএম