সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্টের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত এক শতক তুলে নিয়েছেন মুমিনুল হক। নিজের ‘লাকি ভেন্যু’ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) এই শতক হাঁকিয়ে বেশ কিছু কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন মুমিনুল।
চলতি বছর ৭*টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মুমিনুল। এর মধ্যে ১৩ ইনিংসে ব্যাট করে ৪টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১৮ ইনিংসে ব্যাট করে কোহলির সেঞ্চুরিও ঠিক ৪টি। চলতি বছর টেস্টে এই দুজন ছাড়া বাকিদের কেউই ২টির বেশি সেঞ্চুরির দেখা পাননি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দলীয় ১ রানে সৌম্য সরকারকে হারালে ব্যাটিংয়ে আসেন মুমিনুল। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গী করে সাহসী ব্যাটে জবাব দিয়েছেন ক্যারিবীয়ান রোচ, গ্যাব্রিয়েল, চেস ও বিশুদের বল।
৪৪ রানে ইমরুল ফিরে গেলেও উইকেটে আকড়ে থেকেছেন এই টাইগার টেস্ট স্পেশালিস্ট। স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ের খোলশ থেকে বেরিয়ে আসা ‘প্রিন্স অব কক্সবাজার’ মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগেই ১৩তম টেস্ট ফিফটি তুলের নেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরে অবশ্য একবার জীবন পান। তার ব্যক্তিগত রান তখন ৬৭। দেবেন্দ্র বিশুর দ্বিতীয় স্পেলে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়ার পথে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায় ডরউইচিরে কাছে। কিন্তু গ্লাভসে জমাতে পারেননি ডরউইচ।
এরপর আর বিপদ নয়। শান্ত মুমিনুল কিছুটা অশান্ত হয়েই পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরির ঠিকানায়। সেঞ্চুরিটি তুলে নিতে তিনি খেলেন ১৩৫ বল। যেখানে চার ৯টি ও ৬ একটি।
এতদিন ৮টি সেঞ্চুরি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন তামিম ইকবাল। সে রেকর্ডে এবার ভাগ বসালেন মুমিনুল। এছাড়া একই ভেন্যুতে ছয়টি সেঞ্চুরি করে রিকি পন্টিং (এডিলেইড ও সিডনি), গ্রাহাম গুচ (লর্ডস), মাইকেল ভন (লর্ডস) ও ম্যাথু হেইডেনের (মেলবোর্ন) পাশে নিজের নামও লেখালেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। একই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ১১ সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের (এসএসসি, কলম্বো)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এমএইচএম