৯ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর আনন্দ। তাও মাত্র আড়াই দিনে।
বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাচটা ভালোভাবে খেলতে পেরেছি। খুবই কঠিন ডিসিশন ছিল আসলে। খেলতে পারবো কী পারবো না তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। ধন্যবাদ জানাতে হয় কোচকে কারণ সেই একমাত্র ছিল, যে আমাকে ‘পুশ’ করেছে খেলার জন্য। আমি অনেকবার মনে করেছি, আমি পারবো না। কিন্তু সে অনেক পুশ করেছে খেলার জন্য। তবে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যারা ১১ জন খেলেছি এমনকী যারা বাইরে ছিল তারাও জেতার জন্য ডেস্পারেট ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা পারবো। তাই সবার জন্যই আসলে জয় এসেছে। তবে এখন সামনের ম্যাচেও লক্ষ্য থাকবে। ’
অভিষিক্ত নাঈম হাসান সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘সে প্রথম ইনিংসে দারুণ বল করেছে। আমরা জানি তার আরও উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যেটা সে দ্বিতীয় ইনিংসে পারেনি। কিন্তু সে অনেক কিছু শিখেছে এই ম্যাচে। সে আরও ম্যাচ খেললে আশা করি সে আরও অভিজ্ঞ হবে এবং অনেক কিছু শিখতে পারবে। কিন্তু আমি বলতে চাই পুরো জয়টাই দলগত পারফরম্যান্স ছিল। ’
‘প্রথম ইনিংসে তাইজুল ও নাঈমের ব্যাটে রান দারুণ সাহায্য করেছে। অবশ্যই মুমিনুল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। এছাড়া ছোট ছোট পার্টনারশিপগুলোতে ২০-৩০ রান বেশ সাহায্য করেছে। ছোট লক্ষ্যের ম্যাচে এমন রানগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। এমন ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই জয়ে সাহায্য করেছে। ’
টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে তিন হাজার রান আর ২০০ উইকেট দখলের রেকর্ড এখন সাকিবের দখলে। মাত্র ৫৪ টেস্টেই এই কীর্তি গড়েন তিনি। তার আগে এই রেকর্ড ছিল সাবেক ইংলিশ গ্রেট অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামের দখলে। বোথামের এই কীর্তি গড়তে লেগেছিল ৫৫ টেস্ট। ভারতীয় গ্রেট কপিল দেবের লাগে ৭৩ ম্যাচ, পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের ৭৫ আর কিউই গ্রেট রিচার্ড হ্যাডলি খেলেন ৮৩ ম্যাচ।
নিজের এই রেকর্ড সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি আমি যেখানে যে দলের হয়ে খেলি দলের জন্যই খেলি। আমি যেভাবে পারি দলের জন্য কিছু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। আমার সৌভাগ্যই বলতে হবে, আম এমন কিছু একটা করতে পেরেছি। আশা করি আরও কিছু করতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এমকেএম