ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

কোচের উৎসাহেই খেলেছেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
কোচের উৎসাহেই খেলেছেন সাকিব সাকিব আল হাসান। ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে শুরুটা বাংলাতেই করলেন। কিন্তু যেহেতু আন্তর্জাতিক ম্যাচ তাই বাধ্য হয়ে ইংলিশে বলতে হলো। নিজের ফিরে আসা, দলের তরুণ তুর্কী নাঈম হাসান ও বাকিদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ধন্যবাদ দিলেন কোচ স্টিভ রোডসকেও।

৯ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর আনন্দ। তাও মাত্র আড়াই দিনে।

৬৪ রানের এই জয়ের পেছনে দলের সবার অবদান আছে বলেই মনে করেন অধিনায়ক সাকিব। নিজের খেলা নিয়ে শেষ মুহূর্তে কিছুটা সন্দেহ থাকলেও কোচের উৎসাহেই এই ম্যাচ খেলেছেন বলেই ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জানান।

বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাচটা ভালোভাবে খেলতে পেরেছি। খুবই কঠিন ডিসিশন ছিল আসলে। খেলতে পারবো কী পারবো না তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। ধন্যবাদ জানাতে হয় কোচকে কারণ সেই একমাত্র ছিল, যে আমাকে ‘পুশ’ করেছে খেলার জন্য। আমি অনেকবার মনে করেছি, আমি পারবো না। কিন্তু সে অনেক পুশ করেছে খেলার জন্য। তবে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যারা ১১ জন খেলেছি এমনকী যারা বাইরে ছিল তারাও জেতার জন্য ডেস্পারেট ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা পারবো। তাই সবার জন্যই আসলে জয় এসেছে। তবে এখন সামনের ম্যাচেও লক্ষ্য থাকবে। ’

অভিষিক্ত নাঈম হাসান সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘সে প্রথম ইনিংসে দারুণ বল করেছে। আমরা জানি তার আরও উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যেটা সে দ্বিতীয় ইনিংসে পারেনি। কিন্তু সে অনেক কিছু শিখেছে এই ম্যাচে। সে আরও ম্যাচ খেললে আশা করি সে আরও অভিজ্ঞ হবে এবং অনেক কিছু শিখতে পারবে। কিন্তু আমি বলতে চাই পুরো জয়টাই দলগত পারফরম্যান্স ছিল। ’

‘প্রথম ইনিংসে তাইজুল ও নাঈমের ব্যাটে রান দারুণ সাহায্য করেছে। অবশ্যই মুমিনুল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। এছাড়া ছোট ছোট পার্টনারশিপগুলোতে ২০-৩০ রান বেশ সাহায্য করেছে। ছোট লক্ষ্যের ম্যাচে এমন রানগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। এমন ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই জয়ে সাহায্য করেছে। ’

টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে তিন হাজার রান আর ২০০ উইকেট দখলের রেকর্ড এখন সাকিবের দখলে। মাত্র ৫৪ টেস্টেই এই কীর্তি গড়েন তিনি। তার আগে এই রেকর্ড ছিল সাবেক ইংলিশ গ্রেট অলরাউন্ডার ইয়ান বোথামের দখলে। বোথামের এই কীর্তি গড়তে লেগেছিল ৫৫ টেস্ট। ভারতীয় গ্রেট কপিল দেবের লাগে ৭৩ ম্যাচ, পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের ৭৫ আর কিউই গ্রেট রিচার্ড হ্যাডলি খেলেন ৮৩ ম্যাচ।  

নিজের এই রেকর্ড সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি আমি যেখানে যে দলের হয়ে খেলি দলের জন্যই খেলি। আমি যেভাবে পারি দলের জন্য কিছু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। আমার সৌভাগ্যই বলতে হবে, আম এমন কিছু একটা করতে পেরেছি। আশা করি আরও কিছু করতে পারবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।