ঘরের মাঠে খেলতে নেমে অভিষেকেই সবচেয়ে কমবয়সী বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন নাঈম। অন্যদিকে আরেক স্পিনার তাইজুলও কম যান না।
ম্যাচ শেষে দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাছে থেকে তাই বাড়তি প্রশংসাও পেলেন বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণের এ দুই স্পিনার।
বলেন, ‘অভিষেক ম্যাচ হিসেবে নাঈম অসাধারণ বল করেছে। আমি মনে করি ওর ভালো ফিউচার আছে। সবচেয়ে ভালো ওর যে জিনিসটা আমার চোখে পড়েছে সেটা হলো- ও অনেক সাহসী। ’
তবে সাফল্যে গা ভাসিয়ে না দিয়ে নাঈমকে যে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, তাও মনে করিয়ে দেন অধিনায়ক সাকিব। বলেন, ‘ওকে হয়তো তাড়াতাড়ি আরও অনেক কিছুই শিখতে হবে। খেলার সঙ্গে সঙ্গেই ও এটা শিখতে পারবে। ’
নাঈমের অভিষেক হলেও তাইজুল ইতিমধ্যে খেলে ফেলেছেন ২১ ম্যাচ। চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার আগে তার ঝুলিতে ছিলো বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সবোর্চ্চ উইকেট (৮৭) শিকারের অভিজ্ঞতা। তাই ম্যাচের আগেই তাইজুল ভালো কিছু করবে এমন আস্থা ছিলো টাইগার দলপতির।
বলেন, ‘তাইজুলের প্রতি আস্থা ছিল। প্রথম ইনিংসে যদিও একটা উইকেট পেয়েছে, বাট আমরা সবাই কিন্তু ওকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেছি। ড্রেসিংরুমের সবাই তাকে এটাই বলেছি যে, ফার্স্ট ইনিংসে ওই বেস্ট বোলার ছিলো। অনেক সময় এটা হয়। বল ভালো হলেও নানা কারণে উইকেট পাওয়া হয় না। আমরা এটা জানি। তাইজুলের সব থেকে ভালো দিক হচ্ছে ও অসম্ভব পরিশ্রমী। ’
শেষ ৩ টেস্টে টানা ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুলের প্রতি আরও প্রত্যাশার কথাই জানালেন সাকিব। বলেন, ‘ও অসাধারণ বল করেছে, আমি চাইবো এ বছর আরও একটি ম্যাচ আমাদের আছে। সেখানেও তাইজুল ভালো করুক। শুধু এক ইনিংসে নয়, দুই ইনিংসেই সে ৫ উইকেট পাক। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এমআর/টিসি/এমকেএম