মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ২১৯ রানও সেখানেই (৫)। গেল ১২ নভেম্বর মিরপুরে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মহাকাব্যিক ইনিংসটি খেলেছিলেন এই টাইগার মিডল অর্ডার।
অথচ ওপেনারদের পরে ইনিংস বড় করার সুযোগ কিন্তু তিনে নামা ব্যাটসম্যানরাই বেশি পেয়ে থাকেন। যেটা মুমিনুল হক পেয়ে আসছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো দেশের একমাত্র স্বীকৃত টেস্ট স্পেশালিস্ট হয়েও তিনে নেমে আজও সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ডাবলের দেখা পাননি এই প্রিন্স অব কক্সবাজার। টেস্টে মোট ৮ সেঞ্চুরির ৩টিতেই আউট হয়েছেন ১৬১, ১৭৬ ও ১৮১ করে।
তবে এসব বিষয় নিয়ে ভেবে অযথাই চাপ বড়াতে চাইছেন না মুমিনুল। নিয়মিত অনুশীলন করলেও নিজের প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে একদিন তা নিশ্চয়ই ধরা দেবে বলে বিশ্বাস তার।
‘ওইভাবে যদি আমি বেশি চিন্তা করি তাহলে জিনিসটা খুব বোদার হয়। কারণ আপনি যদি সবসময় চিন্তা করেন আমি ১৫০ করছি, ২০০ কেন করতে পারছি না? তো আমার কাছে মনে হয় আমি যদি রেগুলার বেসিসে কাজ করি, অনুশীলন করি, হয়তো ওই জিনিসটা এক সময় না এক সময় আমি ওভার কাম করতে পারবো। তো আমি যদি শিখতে পারি যে ওই জায়গায় কি প্রবলেম হচ্ছে ওইটা অটোম্যাটিক হয়ে যাবে। ’
বুধবার (২৮ নভেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে একথা বলেন।
মুমিনুল এসময় ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ঢাকা টেস্টে নিজেদের লক্ষ্যের কথাও জানিয়ে রাখলেন। যেখানে জয় ভিন্ন আর কিছুই ভাবতে চাইছেন না এই টাইগার টপ অর্ডার এবং প্রথম টেস্টের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি জিতে প্রথমবারের মতো ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের গৌরব গাঁথা রাচনা করতে চাইছেন।
‘আমার কাছেতো মনে হয় আমরা জিততে চাই, জেতার জন্যই খেলব। অবশ্যই ম্যাচ জেতা। আপনি যেটা বললেন হোয়াইটওয়াশ করব সেটাই। ম্যাচ জিতার জন্য নামব যখন জিনিসটাতো হয়েই যাবে। আর আপনি যদি আগে থেকে চিন্তা করেন হোয়াইটওয়াশ করব, হোয়াইটওয়াশ করব তাইলে ফোকাসটা এই জায়গা থেকে সরে যাবে স্পেসেফিক জায়গা থেকে। আপনি যদি চিন্তা করেন ম্যাচ জেতার জন্য, অটোম্যাটিকলিই হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস