ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস এই দিনেই সাদমানকে টেস্ট ক্যাপ পড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার ছোঁয়ায় অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়ালেন।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে সাদমানের বাবার মুল কাজ তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনা ও তাদের দেখভাল করে জাতীয় দলের আঙিনায় পৌঁছে দেয়া। ২০০৪ সাল থেকে সেই কাজটিই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছেন শহিদুল ইসলাম। যে প্রক্রিয়ার অধীনে সাদমানও ছিলেন লম্বা সময়।
সঙ্গত কারণেই শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) প্রথম দিনের খেলা শেষে যখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি তখনই উঠে এলো বাবার প্রসঙ্গও। এখানে আসতে বাবার ভূমিকা কতখানি?
উত্তরে সাদমান জানালেন, ‘আব্বু সবসময় আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে। আমি যখন অনেক ছোট তখন অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ক্যাম্পে আমাকে নিয়ে যেতেন। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল খেলোয়াড় হবো। যেভাবে আব্বু খেলার জন্য বলছে ....আমি একাডেমি কিংবা স্কুল ক্রিকেট থেকে ওভাবেই তৈরি হয়েছি। আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে খেলার জন্য। কীভাবে খেলতে হয়,,,কীভাবে লাইফ সেট করতে হয় ক্রিকেটারদের; ওগুলো আমাকে এখনও বলে। নিজেকে চেষ্টা করি ওভাবে রাখার। ’
তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডের অনেকেই জানতেন না যে সাদমান শহিদুলের সন্তান। চার বছরেরও বেশি সময় বাবার বিভাগের ছাত্র ছিলেন সাদমান। অথচ মাঠে বাবা-ছেলে দূরত্ব রাখার চেষ্টা করে গেছেন শুরু থেকেই। তার লক্ষ্য ছিল একটিই; যোগ্য হলে তবেই ছেলে জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। কেউ যেন ভুলেও আঙুল তুলে বলতে না পারে, ‘ওই যে দেখুন, বাবার জোরে ছেলে জাতীয় দলে খেলছে। ’
অবশ্য সেই সুযোগটিও সাদমান রাখেননি। ব্যাট হাতে অভিষেকেই বাজিমাত করে অন্তত একটি বার্তা বোধ হয় তিনি বেশ জোরেশোরে দিতে পেরেছেন, বাবার জোরে নয়, নিজের ব্যাটের জোরে আজ লাল সবুজের আঙিনায় তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম