বরাবরের মতো এবারও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট (ডিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগ(এনসিএল) বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির মনিটরিংয়ে আওতায় ছিলো এবং বিসিএলের চলতি আসরেও তা অব্যাহত আছে। আশার কথা ঘরোয়া ক্রিকেটের এই শীর্ষস্থানীয় এই টুর্নামেন্টগুলো থেকে কোনো বোলারের অ্যাকশনকেই ত্রুটিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করতে পারেনি রিভউ কমিটি।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য দেন বিসিবি’র ম্যানেজমেন্ট ও ইনফরমেশন নাসিরউদ্দিন আহমেদ নাসু।
বলেন, ‘প্রথম বিভাগের ক্রিকেট থেকে সন্দেহভাজন ৫ জন বোলারের নামে প্রতিবেদন এসেছে। এদের সবারই পরীক্ষা আমরা নিয়েছি। পরীক্ষার পরে দুইজনকে সন্দেহভাজন পেয়েছি। আর তিনজনকে পেয়েছি, যাদের বোলিং অ্যাকশন আইসিসি অনুমোদিত লিমিটের মধ্যে আছে। নিষিদ্ধ দু’জন হলো হাসু ও আবু বকর, তারা ওরিয়েন্টের খেলে। ’
নিষিদ্ধ এই দুই ক্রিকেটারের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই তাদের ক্লাব ওরিয়েন্টকে অবগত করেছে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। যতদিন এই দুই ক্রিকেটে অ্যাকশন শুধরে উঠতে না পারবেন ততদিন তাদের বোলিং থেকে বিরত থাকতে হবে।
নাসু বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত তারা পরীক্ষা দিয়ে না আসবে এবং পুনবার্সন করে না আসবে ততদিন বোলিং করতে পারবে না। ’
নিষিদ্ধদের অ্যাকশন শোধরাতে ক্লাবগুলো চাইলে বিসিবির সহযোগিতা নিতে পারে বলেও জানান তিনি। তবে সেটা নির্ভর করবে কোচদের সহজপ্রাপ্যতার ওপরে। এ প্রসঙ্গে নাসু বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে ক্লাবগুলো যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে সহযোগিতা চায় এবং আমাদের কোচরা যদি সহজপ্রাপ্য থাকে আমরা কোচ দিয়ে সহযোগিতা করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম