প্রথমে ব্যাট করে ১৭০ রানের বড় স্কোর করে খুলনা টাইটান্স। দলটি বোলিংয়ের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত।
শুরুর ধাক্কা কিছুটা হলেও সামাল দেন সাব্বির রহমান ও আফিফ হোসেন। দু’জন মিলে ৩২ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন সাব্বির। ১২ বলে ১৩ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে ডেভিড ওয়েইসির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
অলোক কাপালি, আফিফের সঙ্গী হলেও উইকেটে টিকতে পারেননি বেশি সময়। ১৫ বলে ১৩ রান করে তাইজুলের বলেই ফেরেন তিনি। কাপালির পর একই ওভারে আফিফকেও ফিরিয়ে দেন তাইজুল। ফেরার আগে ২৪ বলে ২৯ রান করেন এই তরুণ ক্রিকেটার।
দ্রুত চার উইকেট পড়ে গেলেও নিকোলাস পুরান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ৮১ রানের জুটি দল সিলেটকে নিয়ে যায় জয়ের অনেকটা কাছে। তবে ব্যক্তিগত ২১ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে ওয়েইসির বলে আউট হয়ে ফেরেন পুরান।
৩৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করা নাওয়াজকে ফেরান পাকিস্তানের জুনায়েদ খান। তিনি ফিরে যাওয়ার পর দল মহাবিপদে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানেই থেমে যায় সিলেটের ইনিংস।
খুলনার হয়ে একাই তিন উইকেট নেন তাইজুল। আর একটি করে উইকেট পান, জুনায়েদ খান, শুভাশিষ, ইয়াসির শাহ ও ওয়েইসি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন টেইলর ও জুনায়েদ সিদ্দিকী আর শেষদিকে ডেভিড ওয়েইসির ব্যাটে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে সিলেট সিক্সার্সের সামনে ১৭১ রানের টার্গেট দেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন সিলেটের অধিনায়ক সোহেল তানভীর।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৬.৫ ওভারেই খুলনার দুই ওপেনার মিলে তুলে ফেলেন ৭৩ রান। ২৩ বলে ৬ চারে ৩৩ রান করে অলক কাপালির বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে জুনায়েদ বিদায় নিলে সমাপ্তি ঘটে এই জুটির। এরপরই খেই হারিয়ে ফেলে খুলনা।
জুনায়েদের বিদায়ের পর দলের স্কোর বোর্ডে মাত্র ৩ রান যোগ হতেই আউট হয়ে ফেরেন আল-আমিন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়ে যায় রিয়াদের দল। খুলনার আরেক ওপেনার ব্র্যান্ডন টেইলরের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৮ রান। ৩১ বলের এই ইনিংসে চারের মার ৪টি আর ছক্কার মার ২টি।
শেষদিকে খুলনার ইনিংসের হাল ধরে দলকে ১৭০ রানের সংগ্রহ এনে দেন ডেভিড ওয়েইসি। ২৫ বল খেলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে তাসকিনের শিকার হয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
বল হাতে স্পিন ঘূর্ণির পসরা সাজিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন অলক কাপালি। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তাসকিন আহমেদ ও মোহম্মদ নওয়াজ।
এই ম্যাচের পর ৯ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে খুলনার অবস্থান ৬-এ। আর ৮ ম্যাচে সমান জয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে সিলেট সিক্সার্সের অবস্থান ৭-এ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমকেএম/জেডএস