২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শৃঙ্খলাজনিত কারণে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটাচ্ছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু চলতি বিপিএলে তার পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে তার সেই শাস্তি একমাস কমিয়ে এনে নিউজিল্যান্ড সফরে সুযোগ করে দেওয়া হয়।
তবে, বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দেশের একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি অনলাইন পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মাশরাফি জানিয়েছেন, সাব্বিরকে দলে নেওয়ার পেছনে তিনি শুধু যুক্তিই দেখিয়েছেন। কারণ, তিনি চান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরও ওপরে ব্যাট করবেন। আর তা হলে সাত নম্বরে একজন ব্যাটসম্যানের চাহিদা থেকে যায়।
সাব্বিরের দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মাশরাফির যুক্তি বেশ শক্ত। কারণ, ৭ নম্বরে নেমে ১৫ বলে ২৫ কিংবা ২০ বলে ৩৫ রান করার মতো ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। বিশ্বকাপে স্টার্ক, কামিন্স, বুমরাহ, শামি, রাবাদা, স্টেইন, স্টোকস, বোল্ট, হাসান আলী কিংবা আমিরের মতো বোলারদের সামলে শট খেলা এত সহজ কাজ নয়। মাশরাফি মনে করেন সাব্বিরের পক্ষে তাদের বলে শট খেলা সম্ভব।
তবে সাব্বির এখনই সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে ফেলেছেন তাও মনে করেন না মাশরাফি। তবে তার স্ট্রাইক রেট আশা জাগানিয়া। আর তার আগ্রাসী ব্যাটিং স্টাইলও এক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তাছাড়া ৭ নম্বরে আরও অনেককেই নামিয়ে দেখা হয়েছে, কিন্তু ফলাফল আসেনি।
মাশরাফির যুক্তির পক্ষে প্রমাণও আছে। ওয়ানডে অভিষেক হওয়ার পর থেকে সাব্বিরের স্ট্রাইক রেট ৯৯.৪১, যা বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যান, যারা ছয় কিংবা আট নম্বরে ব্যাট করেছেন তাদের চেয়ে বেশি।
এছাড়া সাব্বিরকে দিয়ে বোলিং করানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ‘ম্যাশ’। বিশ্বকাপের ইংলিশ কন্ডিশনে স্পিনে ফল পাওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে সাব্বিরকে দিয়ে ৪-৫ ওভার বল করালে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। সাব্বিরকে লেগ-ব্রেক বোলিং নিয়ে কাজ করতে বলবেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
নির্বাচকদের কাছে জোরালো দাবি করার বিষয়ে মাশরাফি বলেন, 'আমার কি দাবি জানানোর এখতিয়ার আছে? আমি কি নির্বাচক কমিটির সদস্য? তারা জানতে চেয়েছেন আমি মতামত দিয়েছি। আমি ক্রিকেটীয় যুক্তি দেখিয়েছি। কাকে দলে নেওয়া হবে তা নির্বাচকদের এখতিয়ার। তাদের কাছে হয়তো আমার যুক্তি যথাযথ মনে হয়েছে। আমি সাব্বিরকে দলে নিতে বলিনি। আমি আমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দিয়েছি। '
তবে সাব্বিরকে সুযোগ দেওয়া হলেও সতর্কও করে দিলেন মাশরাফি। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে যে তার সামনে অন্ধকার অপেক্ষা করছে তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন এই দেশসেরা পেসার।
অন্যদিকে যাকে নিয়ে এত আলোচনা সেই সাব্বির কিন্তু এটাকে ‘দ্বিতীয় জীবন’ হিসেবে নিচ্ছেন। স্কোয়াডে নাম আসার পর সাব্বির বলেন, 'আমি যখন (নিউজিল্যান্ডে) প্রথম ম্যাচে নামবো, এটা হবে আমার দ্বিতীয় অভিষেক। আমি এখান থেকে ভালো করার চেষ্টা করবো। আমি সেই পুরনো সাব্বিরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো। আমি যদি ব্যর্থ হই, আমি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবো এবং টিম ম্যানেজমেন্ট যা বলবে সেই অনুযায়ী কাজ করবো। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএইচএম