আরও পড়ুন...রেকর্ড চুরমার করে সৌম্যর ডাবল সেঞ্চুরি
জিতলেই চ্যাম্পিয়ন এমন সমীকরণ নিয়ে এ ম্যাচে মাঠে নামে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে আবাহনী। তবে হেরে গেলে ও অন্য ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয় পেলে শিরোপার মুকুট রূপগঞ্জকেই পরিয়ে দিতে হতো।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয় শেখ জামাল ও আবাহনী। প্রথমে ব্যাট করা শেখ জামাল নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান করেন। জবাবে ৪৭.১ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৩১৯ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঐতিহ্যবাহী আবাহনী।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রেকর্ড বইয়ে একের পর এক আঘাত করেন আবাহনী ওপেনার সৌম্য। ঝড়ো টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার পর বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৫৩ বলে ১৪টি চার ও ১৬টি ছক্কায় ২০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। জহুরুল ১২৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় বরাবর ১০০ রানে ইমতিয়াজ হোসেনের বলে থামেন।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা শেখ জামাল তানবীর হায়দারের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৩১৭ রান করে আবাহনীকে হুমকিই দিয়ে রেখেছিল। তানবীর ১১৫ বলে ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৩২ করে অপরাজিত থাকেন। দলের হয়ে ইলিয়াস সানী ৪৫ ও মেহরাব হোসেন ৪৪ রান করেন।
আবাহনী বোলারদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নেন। বিশ্বকাপের আগে দারুণ এক স্পেলই উপহার দিলেন তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন ও সৌম্য একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার।
এ নিয়ে রেকর্ড ২০তম শিরোপা ঘরে তুললো আবাহনী। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান শিরোপা জিতেছে ৯ বার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এমএমএস