ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাত্র ৩১ বছর বয়সেই ক্রিকেটকে বিদায় বললেন নাজমুল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
মাত্র ৩১ বছর বয়সেই ক্রিকেটকে বিদায় বললেন নাজমুল নাজমুল হোসেন

বয়স মাত্র ৩১। এই বয়সেই অনেকটা নীরবে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন। একসময় টাইগারদের অন্যতম সেরা পেসার ভাবা হতো তাকে। কিন্তু চোটের কারণে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন সাত বছর। কিন্তু এবার খেলোয়াড়ি জীবনেরও ইতি টেনে দিলেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান নাজমুল।

২০০৪ সালে বার্মিংহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়া নাজমুল জাতীয় দলে কখনই নিয়মিত হতে পারেননি।

দলের কোনো পেসার চোটে পড়লেই তার ডাক পড়তো। কিন্তু দলে ফিরলেও কখনো চোটের কারণে, কখনো টিম কম্বিনেশনের কারণে জায়গা হারাতে হতো তাকে।

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সম্ভাবনা জাগিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন নাজমুল। কিন্তু ৮ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ১৮টি ওয়ানডে, ২টি টেস্ট আর ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। এর মধ্যে ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা ৪৪টি, টেস্টে ৫ আর টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১২ সালের মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত না হলেও তা নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই নাজমুলের। বরং দলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় টিকে থাকাকেও নিজের সাফল্য ভাবতে চান তিনি। নিজের কষ্ট আর প্রাপ্তি নিয়ে অনেকটা মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করে নাজমুল বললেন, ‘সবমিলিয়ে যদি খেলার দিক থেকে চিন্তা করেন তাহলে কম খেলেছি। কিন্তু দলের সাথে ছিলাম প্রায় ১১ বছর। শেষের দুই বছর, ২০১৪’র পর থেকে আমি সব দিক থেকেই স্ট্রাগল করছিলাম। তখনই আমার মনে হয়েছিল লাকি না হলে আমার ব্রেক করে ফিরে আসা কঠিন হবে। যখন ফিট ছিলাম তখনও আমি ইন অ্যান্ড আউট ছিলাম। আমি প্রথম টেস্ট খেলার পর সাত বছর পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছি। '

বাংলাদেশেরে অনেক স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী নাজমুল হোসেন। বাংলাদেশ ২০০৪ সালে প্রথম ভারতকে হারানোর স্বাদ পায়। ওই ম্যাচে ২২৯ রানের সংগ্রহ নিয়েও জিতে যায় বাংলাদেশ। ৭ ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করে উইকেট শুন্য থাকলেও নাজমুলের ভূমিকা মোটেই কম নয়।  

এরপর ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচেও দারুণ ভূমিকা রাখেন নাজমুল। বিধ্বংসী অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন সেবার ডেমিয়েন মার্টিনকে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তরুণ পেসার নাজমুল হেইডেনকে তুলে নিলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে চলে আসে। এছাড়া ২০০৬ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের ম্যাচেও তার ভূমিকা ছিল।

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেও কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করছেন নাজমুল। যোগ দিচ্ছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পেস বোলিং কোচ হিসেবে। নতুন অধ্যায়ে পা দেওয়ার আগে ছোট ক্যারিয়ারে নিজের অজস্র প্রাপ্তির কথা ভেবে নিজেকে ভাগ্যবানই ভাবছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।