বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সির রং গাঢ় এবং হালকা সবুজ। পুরো জার্সিতে কোথাও লাল রং নেই।
মুহা. সাব্বির আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, 'একেবারে বাজে জার্সি, যেখানে সবুজের বুকে লাল থাকার কথা, সেখানে শুধুই সবুজ। এটা কখনো বাঙালির জার্সি হতে পারে না। '
মোহাম্মদ আনিস লিখেছেন, 'আমি এই জার্সির পক্ষে নই! জার্সি পরিবর্তন করার দাবি জানাচ্ছি! লাল রংটা চেতনা! লাখো বাঙ্গালির রক্তের প্রতীক!'
মো. ফরহাদ আলী লিখেছেন, 'বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিটা অতীতের তুলনায় সবচেয়ে বাজে হয়েছে। বুঝলাম না বাংলাদেশ দলের জার্সিটা কেন পাকিস্তানের জার্সির মত হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মানে আমার কাছে সবুজ রঙের চেয়ে লাল রং অনেক বেশি মূল্যবান। '
নিরূপম মণ্ডল লিখেছেন, ‘লাল সবুজ আমাদের অহংকার। সেই অহংকার আজ নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে পাকিস্তানের জার্সির সাথে মিল করা হয়েছে। চমৎকার!!!’
তবে কেউ কেউ প্রশংসাও করেছেন। যেমন, ফিরোজ আহমেদ লিখেছেন, ‘জার্সির রংটা আগের চেয়ে অনেক বেশী দৃষ্টি মনোহর (soothing) হয়েছে। আগের সবুজ রং অনেক বেশী ক্যাটকেটে ছিল এবং চোখকে পীড়া দিত। পৃথিবীর কোনো দেশের জার্সিই সে দেশের জাতীয় পতাকার অনুকরণে করা হয় নাই এবং কোনো কোনো দেশের জার্সির সঙ্গে জাতীয় পতাকার কোনো মিলই নেই। জাতীয়তাবাদ এত সস্তা নয় যে খেলোয়াড়দের জার্সির রং জাতীয় পতাকার সাথে হুবুহু মিল না থাকলে তা উবে যাবে। বরং জাতীয়তাবাদ তখনই থাকেনা যখন আমরা রাস্তায় ময়লা ও থুথু ফেলি, যেখানে সেখানে রাস্তা পার হই, এলোমেলো গাড়ি চালাই, কাজ না করে কথা বেশী বলি, দুর্নীতি করি, চাঁদাবাজি করি এবং রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর করি। '
সমর্থকদের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, 'আসলে আমাদের লাল আর সবুজ দুইটার কনসেপ্টই ছিল। জার্সিতে দুই রংই থাকতে হবে এমন তো কথা নেই। আর পুরো সবুজ তো হয়নি। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাও এই কালারের জার্সি পড়ে খেলে। '
'তবে এটা ঠিক যে সবুজের মাঝখানে লাল বর্ডার থাকলে ভালো হতো। আমাদের ওই রকমই লাল কালারেরও জার্সি আছে ওটা পড়েও বাংলাদেশ খেলবে। একসাথে দুইটা রং না থাকলেও আলাদা ভাবে রয়েছে। '
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমএইচএম