শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। স্কোর বোর্ডে ২৯ রান যোগ করতেই লিটন দাস (১৯), সৌম্য সরকার (৪), সাকিব আল হাসান (১) ও মুশফিকুর রহিম (০) সাজঘরে ফেরত যান।
দলের বিপদ আরও বাড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৪) ও সাব্বির রহমানের (১৫) বিদায়ের পর। ৬০ রানে নেই ৬ উইকেট। তবে সপ্তম উইকেটে দলকে জয়ের পথে নিয়ে আসেন আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন।
দুজনের মারমুখি ব্যাটিংয়ে ১০০ রানে গণ্ডি পার করে টাইগাররা। এখানেই থেমে থাকেননি তারা। আফিফ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন ২৪ বলে। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর কাজ সহজ করে দেন আফিফ-মোসাদ্দেক। ২৬ বলে ৫২ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন আফিফ। ১৭.৪ ওভারে ১৪৮ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দু’টি করে উইকেট নেন কাইল জারভিস, টেন্ডাই চাতারা ও নেভিল মাতজিভা। এছাড়া একটি উইকেট নেন বার্ল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারে প্রথম বলেই অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলরকে ফেরত পাঠান তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের প্রথম আর টি-টোয়েন্টিতে ১৫তম বোলার হিসেবে অভিষেকের প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে ক্রেইগ অরভিনকে সঙ্গে নিয়ে ৪৩ রান যোগ করেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। দলীয় ৫১ রানে আরভিন মোস্তাফিজের বলে মোসাদ্দেকের হাতে ধরা পড়েন। এরপর ২৬ বলে ৩৪ রান করা মাসাকাদজার উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
দলীয় ৫৬ রানে শন উইলিয়ামস ২ রান করে মোসাদ্দেকের শিকারে পরিণত হন। টিমিসেন মারুমা রান আউটের শিকার হলে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
ষষ্ঠ উইকেটে অবশ্য সেই চাপ ভালো ভাবেই সামাল দেন রাইয়ান বার্ল ও টিনোটেনডা মুতুমবুডজি। বার্লের মারমুখি ব্যাটিংয়ে ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান করে জিম্বাবুয়ে। সাকিবের এক ওভারেই ৩০ রান তুলে নেন তিনি। ৩২ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন বার্ল।
বাংলাদেশের তাইজুল, সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজ ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন। ৫২ রানের একটি দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএআর/ওএইচ/