বুধবার (০৯ অক্টোবর) লিনক্লোনে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৫ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউই দল।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতেই ৭১ রান যোগ করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন। ৪৪ বলে ৫১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে তানজিদ বিদায় নেওয়ার পর অবশ্য হালকা ধাক্কা খায় সফরকারীদের ইনিংস। নিয়মিত বিরতিতে বিদায় নেন মাহমুদুল হাসান জয় (১৩), শাহাদাত হোসেন (১২)।
এরপর দলকে বিপাকে ফেলে বিদায় নেন বিদায় নেন ইমনও। কিউই বোলার জেসে টাশকফের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৮২ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। তবে এখান থেকেই ১০৪ রানের জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক আকবর আলী।
বাংলাদেশ ইনিংসের মূল ভিত্তি আসলে হৃদয় ও আকবরের দুই অসাধারণ ইনিংস। ৭৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। আর ৬৬ রানের ইনিংস সাজাতে মাত্র ৪৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান আকবর। তবে এই জুটির পর আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় ২৯৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২৯৬ রানের লক্ষ্য পার হতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় কিউই যুবাদের। উইকেট খোয়াতে হয় ৬টি। যদিও স্বাগতিকদের ৯ রানের মাথায় ওপেনার ডেভান ভিশভাকাকে তুলে নিয়ে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম।
কিন্তু এরপর ১২২ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ান ওলি হোয়াইট ও ফের্গাস লেলম্যান। ৬২ বলে ৪৫ রান করা হোয়াইটকে আকবর আলীর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আসাদুল্লাহ গালিব। গালিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন লেলম্যানও (৭১)। এরপর হালকা ধাক্কা সামলে দলকে জয় এনে দেন জেসে টাশকফ (৬৬*) ও আদিত্য অশোক (২৪*)। এছাড়া উইলিয়াম ক্লার্কের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৯ ওভার বল করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন গালিব। তবে এজন্য তিনি ৭৮ রান খরচ করেছেন। আর ১টি করে উইকেট গেছে শরিফুল ও অভিষেক দাসের ঝুলিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এমএইচএম