বিশাখাপত্তম টেস্টের পর পুনে টেস্টেও দুর্দান্ত জয়ে সিরিজটাও আগেভাগে জিতে নিয়েছে ভারত। ইনিংস ও ১৩৭ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনেই সফরকারী প্রোটিয়াদের ফলোঅনে ফেলে ভারত। সেই ফলোঅন এড়াতে পারেনি ফাফ ডু প্লেসিসের দল। রোববার (১৩ অক্টেবর) দ্বিতীয় ইনিংসে তারা গুটিয়ে গেছে ১৮৯ রানে। চতুর্থদিন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেই বড় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১ রানে এইডেন মার্করামকে (০) হারায় তারা। উমেশ যাদব বেশিক্ষণ ঠিকতে দেননি থিওনিস ডি ব্রুইনকেও (৮)। দলের বিপর্যয়ের মুখে হাসেনি ডু প্লেসিসের (৫) ব্যাট।
চাপ কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করে ডিন এলগার ও টেম্বা বাভুমার। এলগারকে (৪৮) ফিফটি বঞ্চিত করেন রবিনচন্দ্র অশ্বিন। এর পরপরই রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হোন কুইন্টন ডি কক (৫)। বাভুমাকেও (৩৮) ফেরান জাদেজা। মুতুসামিকে (৭) আউট করেন মোহাম্মদ শামি।
হারের মুখে দাঁড়িয়ে শেষদিকে প্রথম ইনিংসের মতো এবারও লড়াই করেন ভারনন ফিল্যান্ডার। এবারও তাকে সঙ্গ দেন মহারাজ। দু’জনের ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন যাদব। ফিল্যান্ডার ফিরেন ৩৭ রানে। কাগিসো রাবাদাকে (২) তুলে নেন যাদব। শেষ উইকেট হিসেবে ২২ রানে জাদেজার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মহারাজ।
প্রথম ইনিংসে ২৭৫ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল প্রোটিয়ারা। কোহলির ডাবল ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৬০১ রান নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেটে নেন জাদেজা ও যাদব।
এই নিয়ে ঘরের মাটিতে রেকর্ড টানা ১১ (২০১২/১৩-চলমান) জয় পেলো ভারত। আগে এই রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০০৪-২০০৮/০৯ সালে ১০টি এবং ১৯৯৪/৯৫-২০০০/০১ সালে ১০টি করে ঘরের মাটিতে টানা টেস্ট জিতেছিল অজিরা। ১৯৭৫/৭৬-১৯৮৫-৮৬ সালে ৮ বার জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন কোহলি। টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ককে হাতছানি দিচ্ছে আরেকটি রেকর্ডও। ৫০ টেস্টে নেতৃর্ত্ব দেওয়া অধিনায়কদের মধ্যে আর ৫টি টেস্ট জিতলে রিকি পন্টিংকে ছুঁয়ে ফেলবেন কোহলি। ৩০ টেস্ট জয় নিয়ে তিনি আছেন তিনে। অধিনায়ক হিসেবে পন্টিং জিতেছেন ৩৫ টেস্ট। ৩৭ টেস্ট জয়ে শীর্ষে আছেন স্টিভ ওয়াহ। অধিনায়ক হিসেবে ২৭টি টেস্ট জিতে চারে ভিভ রিচার্ডস।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
ইউবি