ভারত সফরের আগে জাতীয় দলের অনুশীলনের অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব। এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে সেসময় কিছুই জানানো হয়নি।
বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে যায়, জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব বোর্ড বা সংস্থাটির দুর্নীতি দমন সংস্থা আকসুকে না জানানোয় ১৮ মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব। আইসিসি’র আইন অনুযায়ী, তদন্ত শেষে আকসু’র পক্ষ থেকে আইসিসি’র সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সিলের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অভিযোগ দায়ের করা হবে কি না। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।
যদি তদন্তের পর সাকিব অভিযোগ স্বীকার করে নেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি ঘোষণা করবে আইসিসি। আর যদি তিনি আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে বিচার প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে একটি স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।
এদিকে দেশের ক্রিকেটভক্তদের একটা বড় অংশ মনে করে, সাকিবকে আসলে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে। কারণ, ১১ দফা (পরবর্তীতে ১৩ দফা) দাবিতে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। পরে তাদের সব দাবি মেনে নিলেও সাকিবের বিরুদ্ধে প্রথম চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। দেশের একটি টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করায় তাকে ‘শোকজ’ নোটিশ পাঠায় বিসিবি।
৩২ বছর বয়সী সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আইসিসি’র অলরাউন্ডারদের বর্তমান র্যাংকিংয়ে সাকিবের অবস্থান যথাক্রমে তৃতীয়, প্রথম ও দ্বিতীয়। এর আগে তিন ফরম্যাটেই অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষস্থান তার দখলে ছিল অনেকদিন। গত বিশ্বকাপে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে নিঃসন্দেহে সাকিব দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার।
সাকিবের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির সম্ভাবনা তার ভারত সফর অনিশ্চিত করে দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত। তার কিছু হলে কঠিন আন্দোলনের হুমকিও দিচ্ছেন অনেকে। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এই তথ্য সাকিব গোপন করলেন কেন? আর গোপন করলেও এতদিন পরে তথ্য ফাঁস করল কে এবং কেন? যে বা যারা তথ্য প্রকাশ করলেন তারা আগে কেন জানালেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর হয়ত পাওয়া যাবে শিগগিরই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এমএইচএম