নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে টুইটারে সাকিবের কঠোর সমালোচনা করে ভন লিখেছেন, ‘সাকিব আল হাসান হলেও কোনো সহানুভূতি নয়...অন্য কেউ হলেও না। এই যুগে খেলোয়াড়দের বেশ ভালো করেই জানানো হয় তারা কী করতে পারবে এবং কী পারবে না এবং কোন বিষয়গুলোতে সরাসরি অভিযোগ জানাতে হবে ... দুই বছর যথেষ্ট নয় ... আরো বেশিদিন হওয়া উচিত ছিল।
ভনের এই টুইটের জবাবে অনেকে তাকে প্রশ্ন করেছেন, সাকিবের নিষেধাজ্ঞা না হয় মানা গেল, কিন্তু অনেক ইংলিশ পেসার যে চুইংগাম ব্যবহার করে বলে সুইং করায় তার বেলায় চুপ থাকেন কেন? আবার অনেকে জানতে চেয়েছেন স্মিথ-ওয়ার্নারের শাস্তি কী যথেষ্ট ছিল? কেউ কেউ সরাসরি বলেছেন, আপনার মতো কারো সহানুভূতির কোনো দরকার নেই।
এদিকে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা অন্য ক্রিকেটারদের জন্য সতর্কবার্তা বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা। তার মতে, সাকিব নিজেকে ক্রিকেটের চেয়েও বড় ভেবেছিলেন!
এক টুইটে রমিজ লিখেছেন, ‘সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা সকল ক্রীড়ামোদী ও খেলোয়াড়দের জন্য একটি শিক্ষা: আপনি যদি খেলাটিকে অসম্মান করেন এবং আপনি যদি নিয়ম-নীতিকে পাশ কাটিয়ে খেলার চেয়েও বড় হতে চান তাহলে চরম পতনের জন্যও তৈরি থাকুন!’
রমিজের টুইটের জবাবে একজন কমেন্ট করেছেন, ঠিকই বলেছেন, এই শিক্ষাটা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন। সাকিব তো তবু জুয়াড়ির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, পাকিস্তানের কেউ হলে অত টাকার লোভ সামলাতে পারতেন কিনা সন্দেহ আছে।
আরেকজন বলেছেন, তার মানে একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছে! নীতি আর লজ্জা কি বুর্জ খলিফা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে?
কেউ কেউ তাকে প্রশ্ন করেছেন যে, সাকিব কেন নিষিদ্ধ হয়েছে তা কি রমিজ রাজা সত্যিই জানেন, নাকি আলোচনায় আসার ইচ্ছা থেকেই এসব বলছেন? সাকিবকে জুয়াড়িরা অফার দিলেও তিনি তাতে রাজি হননি। ম্যাচ ফিক্সিং তো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ভারতীয় জুয়াড়িদের নিয়ে এত আলোচনা, সমালোচনা সত্ত্বেও আইসিসি এই ব্যাপারে মুখ লুকিয়ে রাখে কেন? আর মুম্বাই হলো ক্রিকেট জুয়াড়িদের আস্তানা। এসব নিয়ে আকসু চুপ কেন?
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কাটয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন সাকিব। অর্থাৎ, এই সময়ে বাংলাদেশের জার্সিতে ৩৬টি ম্যাচ, এমনকি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলা হবে না তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এমএইচএম