এই ম্যাচে প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা খুলনার স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক দুই ইনিংসে দেখা পেয়েছেন ৫ উইকেটের। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
সোমবার (০৪ নভেম্বর) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রানে অলআউট হয় রংপুর। ২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩০ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে রংপুরের ২২৪ রানের জবাবে খুলনা অলআউট হয় ২৩৩ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুর প্রথমেই অধিনায়ক শাজেদুল ইসলামকে (০) হারায়। এরপর নাসির হোসেন ও আরিফুল হক শক্ত প্রতিরোধ গড়েন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বড় সংগ্রহের পথেই এগোয় রংপুর। দুইজনই অর্ধশতকের দেখা পান।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর আরিফুল ৫৮ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে ১১০ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। এরপরই নামে ব্যাটিং ধ্স। কোন ব্যাটসম্যানই টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রানে অলআউট হয় রংপুর। নাসির সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে আউট হন।
প্রথম ইনিংসের ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া মেহেদী হাসান ৩টি এবং আব্দুল হালিম ও রুবেল হোসাইন ১টি করে উইকেট নেন।
২০৩ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে খুলনা বিভাগ। ৬৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে বিপদ থেকে খুলনাকে রক্ষা করেন মেহেদী হাসান ও জিয়াউর রহমান।
৬২ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন মেহেদী ও জিয়াউর। দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩০ রান। মেহেদী ২৪ ও জিয়াউর ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
আরএআর/ইউবি