২০০৯ সালেও ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন শচীন। এবার বিষয়টি আবারও তুলে ধরলেন ভারতীয় এই লিটল মাস্টার।
শচীন জানান, ‘আমার মনে হয়, সবার আগে ওয়ানডে ক্রিকেটের দিকে দৃষ্টি দেওয়া দরকার। আমার পরামর্শ হলো, ভবিষ্যতে ৫০ ওভারের একটা ইনিংসকে দুটি করা হোক। ২৫ ওভার করে দুটি ইনিংস। অর্থাৎ দুটো টিম মিলিয়ে মোট চারটি ইনিংস খেলবে। ২৫ ওভারের মাঝে ক্রিকেটারদের আলোচনা করে নেওয়ার জন্য ১৫ মিনিটের একটা ব্রেক (বিশ্রাম) দেওয়া যেতে পারে। ’
মাস্টার-ব্লাস্টার শচীন আরও জানান, ‘এভাবে ছোট ছোট ইনিংস থাকলে ওয়ানডে ম্যাচ ভিন্ন এক স্বাদ দেবে। তেমনি দর্শকরাও এটা পছন্দ করবে। তাতে ক্রিকেটের আকর্ষণ বাড়বে। ’
শচীন তার পরামর্শের পাশাপাশি কী করে ম্যাচ চলবে সেটারও টোটকা দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘মনে করুন ৫০ ওভারের ম্যাচে দুটি দল, একটি টিম ‘এ’ অন্যটি টিম ‘বি’। টিম ‘এ’ টস জিতলো এবং ব্যাটিং নিল। তারা প্রথমে ২৫ ওভার ব্যাট করবে। এরপর টিম ‘বি’ তাদের নিজেদের ২৫ ওভার ব্যাট করবে। এরপর প্রথম টিম প্রথম ইনিংস যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই শুরু করবে (২৬তম ওভার)। নিজেদের শেষ ২৫ ওভারে টিম ‘বি’ সেই রান তাড়া করবে। ’
শচীন আরও যোগ করেন, ‘যদি টিম ‘এ’ ২৫ ওভারের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় তাহলে টিম ‘বি’ কোনো ব্রেক ছাড়াই রান তাড়া করতে ৫০ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাবে। ’
শচীনের এই আইডিয়ায় প্রতি ইনিংসে প্রথম পাঁচ ওভার হবে পাওয়ার প্লে। এর ফলে বৃষ্টি হলে টিমগুলো পরিস্থিতি অনুযায়ী ইনিংসের পরিকল্পনা করতে পারবে। মজার ছলে তিনি জানান, ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস (ডিএল মেথড বা বৃষ্টি আইন) নিয়ম কেউই বোঝে না। শুধু ওই দুই ভদ্রলোক বোঝেন। এ রকম অনেক নতুন আইডিয়াই ওয়ানডে ক্রিকেটে নিয়ে আসা যেতে পারে। এগুলো চালু হলে একটু বড় ফরম্যাট দেখার আগ্রহ বাড়বে সাধারণ দর্শকের মধ্যে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এমআরপি