আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের কাছে দায় স্বীকার করে সাকিব এই সাজা মেনেও নিয়েছেন। এর পর থেকেই একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সাকিব ইস্যুতে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানালেন, ‘আমরা যতদূর এখন পর্যন্ত জানি যে এটা নিয়ে কোনো আপিলই করা যাবে না। কোনো পক্ষ এটা করতে পারবে না। এটা সাকিবের কাছ থেকেই জেনেছি। ’
সাকিবের শাস্তি কমানোর ব্যাপারে কী ভাবছে বিসিবি? প্রশ্নটা ঠিক এমন না হলেও বিসিবি প্রেসিডেন্ট জানালেন, ‘সবশেষ আপডেটা হলো আমরা সাকিবকে বলেছি যে এখানে অ্যান্টি করাপশনের যে উইনিট আছে তাদের সাথে কথা বলে বেস্ট ল’য়ার (আইনজীবী) যদি আনতে চায়, এনে যদি কোনো কিছু করার থাকে করবে। কিন্তু এই জিনিসটা যদি আমরা (বিসিবি) আগ বাড়িয়ে করতে চাই তাহলে সাকিবের সমস্যাটা বেড়ে যাবে। হয়তো এমন একটা কিছু করে ফেললাম যে শাস্তি আরও বেড়ে গেলো, তখনতো সব দোষ বিসিবির উপর পড়বে। আমরা এই ঝুঁকির মধ্যে যেতে রাজি না। ’
তারপরও সাকিবের পাশে দাঁড়াতে ভুলবে না বিসিবি। এমনটা জানিয়ে পাপন আরও যোগ করেন, ‘সাকিবের জন্য বোর্ড সবসময় পাশে থাকবে। যে সহায়তা প্রয়োজন তাকে দেওয়া হবে। অ্যান্টি করাপশন উইনিট আছে, সাকিবের যদি পরিচিত কেউ থাকে কিংবা বাহির থেকে যদি সে ল’য়ার আনতে চায়, এখান থেকে ল’য়ার নিতে চায়, যা যা সহায়তা চায় সাকিব বিসিবি সেসব দেবে। কিন্তু সাকিবের সঙ্গে আলোচনা না করে ওর সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো কিছু করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু দিন সময় যাক, দেখা যাক আমরা কি করতে পারি। ’
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে। প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন নতুন করে কোনো অপরাধ না করলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি পেতে হবে না তাকে। সেক্ষেত্রে আগামী ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
আরএআর/এমআরপি