ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লিটনের বিদায়ে আরও চাপে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
লিটনের বিদায়ে আরও চাপে বাংলাদেশ ছবি: সংগৃহীত

ইনিংস পরাজয় এড়াতেই লড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে সফরকারী বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন ভারত ব্যাটিংয়ে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে। এই রিপোর্ট লেখা অবধি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান। সফরকারীরা এখনও পিছিয়ে ২০৮ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রানে উমেস যাদবের বলে বোল্ড হন ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ৬ রানে ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম।

দলীয় ১৬ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বলে এলবির ফাঁদে পড়েন দলপতি মুমিনুল হক (৭)।

এরপর শামির বলে আগরওয়ালের হাতে ধরা পড়েন ২৬ বলে ১৮ রান করা মোহাম্মদ মিঠুন। দলীয় ৪৪ রানে বাংলাদেশ চার উইকেট হারায়। দ্বিতীয় সেশনের শুরতে শামির তৃতীয় শিকারে বিদায় নেন ১৫ রান করা মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ৭২ রানের মাথায় টপঅর্ডারের পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর জুটি গড়েন মুশফিক-লিটন। এই জুটিতে আসে আরও ৬৩ রান। অশ্বিনের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৩৯ বলে ৬টি বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করা লিটন।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে প্রথম ইনিংসে মুমিনুল-মুশফিকরা অলআউট হয় মাত্র ১৫০ রানে। সেখানে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল একাই করেছেন ২৪৩ রান। ইন্দোরে ভারতীয় এই ওপেনারের ডাবল সেঞ্চুরি আর চেতশ্বর পূজারা-আজিঙ্কা রাহানে-রবীন্দ্র জাদেজার ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়ে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় দিন শেষে ১১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৪৯৩ রান। তাতে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে থাকে ৩৪৩ রান।

চেতশ্বর পুজারা (৫৪) রানে বিদায় নেন। অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ‘ডাক’ উপহার দেন আবু জায়েদ রাহি। অষ্টম টেস্ট খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ওপেনার আগরওয়াল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান। সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকা আজিঙ্কা রাহানেকে ফিরিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। রাহানে সাজঘরে ফেরেন ৮৬ রান করে। তার ১৭২ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারিতে। রাহানে-মায়াঙ্ক ১৯০ রানের জুটি গড়েন।

আগরওয়াল ৩৩০ বলে ২৪৩ রানের ইনিংসটি সাজান ২৮ চার ও ৮ ছক্কায়। ১২ রান করা রিদ্ধিমান সাহাকে বোল্ড করেন এবাদত হোসেন। দিন শেষে রবীন্দ্র জাদেজা ৭৬ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় ৬০ রানে আর উমেস যাদব ১০ বলে একটি চার আর তিনটি ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

১০৮ রান খরচায় ভারতের ছয়টি উইকেটের চারটিই তুলে নিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। রান দেওয়ার ক্ষেত্রে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন একটি করে উইকেট পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ আর এবাদত হোসেন। কোনো উইকেট না পাওয়া তাইজুল ইসলামও ‘সেঞ্চুরি’র খাতায় নাম লিখিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।