লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে হারলেও ফাইনালের মঞ্চে কোনো ছাড় দেয়নি জুনিয়র টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের দেওয়া ১২৩ রানের টার্গেট ৭ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে কোনো বেগ পেতে হয়নি শান্তর দলকে। ওপেনিং জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান জমা করেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য। ২৮ বলে ৪ চারে ২৭ রান করে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।
অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে হারালেও বিপযর্য়ের মুখে পড়েনি বাংলাদেশ। শান্তকে নিয়ে এগোতে থাকেন সাঈফ। দুজনে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। তবে দলীয় ৮৩ রানে বান্দারার হাতে রান আউটের শিকার হোন সাঈফ। তার ৩০ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চার ও ২ ছক্কায়।
জয়ের জন্য বাকি কাজটা সেরে ফেলার পথে এগোতে থাকেন শান্ত ও ইয়াসির আলী। ঝড়ো ১৯ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ১০৮ রানে আউট হোন ইয়াসির। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন শান্ত। জয়ের জন্য ২ রান দরকার থাকতে ৪ মারেন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৫ রান। শান্ত ২৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৭ বলে ৫ রান করেন আফিফ।
এর আগে সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) কীর্তিপুরের ত্রিভূবন ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান লাল-সবুজ অধিনায়ক শান্ত।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে মাঝপথে নিয়ন্ত্রণ হারায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধানী জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কা ও নিশান ফর্নান্দো ৪.৪ ওভারে ৩৬ রান তোলেন। তবে এরপরই তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান।
তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার মিডলঅর্ডাররা খেই হারায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন শাম্মু আশান। ২২ রান আসে নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে। কিন্তু ফার্নান্দো (১৬) ও ছারিথ আসালঙ্কা (১২) ছাড়া বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে থামে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান। তানভীর ইসলাম দুটি উইকেট দখল করেন। এছাড়া সুমন খান ও মেহেদী হাসান একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ ্উইকেট শিকার করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
ইউবি