কঠিন ওই সময়ে হাজারো পাকিস্তানি সমর্থক যুবরাজের আরোগ্য কামনায় দোয়া করেছিলেন। সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে আলাপচারিতায় সমর্থকদের সেই ভালোবাসা আর দোয়ার কথা কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করলেন তিনি।
ভারতের ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক জানান, তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানার পর তার টুইটার হ্যান্ডেল সমর্থকদের ভালোবাসা আর সমর্থন বাক্যে ছেয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও জানান, মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার ওই মুহূর্তগুলো ছিল তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতা।
যুবরাজ বলেন, ‘আমার এখনও মনে আছে, আমি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারেরে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছিলাম এবং টুইটার তখন নতুন এক সামাজিক যোগযোগের মাধ্যম। আমি তখন আমার চিকিৎসা নিয়ে কিছু একটা পোস্ট করেছিলাম আর হাজারো পাকিস্তানি আমার জন্য দোয়া করেছিল। ’
অলরাউন্ড দক্ষতায় ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে দেওয়ার অসাধারণ দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন যুবরাজ। ১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ভারতীয় দলকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। মাঠের বাইরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়েও তিনি দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কেমোথেরাপির শেষ ধাপ শেষ করে এবং ক্যান্সারকে পরাজিত করেন তিনি।
২০১২ সালে ক্যান্সারজয়ী যুবরাজের সবচেয়ে চমকে দেওয়া অধ্যায় ছিল একই বছর তার মাঠে ফিরে আসা। এরপর ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও সুযোগ পাওয়ার পর ভারতের জার্সিতে দারুণ কিছু কীর্তি নিজের মানের সঙ্গে যুক্ত করে ২০১৯ সালে ভদ্রলোকের খেলাকে বিদায় বলে দেন।
২৮ বছর পর ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে যুবরাজের ছিল মূল ভূমিকা। ৯ ম্যাচে ৯০.৫০ গড়ে সেবার তিনি ৩৬২ রান করেছিলেন। এর মধ্যে আছে ১টি সেঞ্চুরি ও ৪টি ফিফটি। সেবার চারবার ম্যাচ সেরা হওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরাও নির্বাচিত হয়েছিল তিনি। শুধু কি তাই, প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে এক বিশ্বকাপ আসরে ৩০০ রান ও ১৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েছিলেন।
ভারতের জার্সিতে ৪০টি টেস্ট, ৩০৪টি ওয়ানডে ও ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন যুবরাজ। এর মধ্যে টেস্টে ১ হাজার ৯০০ রান ও ১০ উইকেট, ওয়ানডেতে ৮ হাজার ৭০১ রান ও ১২০ উইকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার ১৭৭ রানের পাশাপাশি ২৯টি উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে তার নামের পাশে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এমএইচএম