সর্বশেষ ২০১৮ সালের মার্চে যেবার কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে খেলতে গিয়ে ক্যারিয়ারে কালো লাগ লাগিয়ে ফিরেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্মিথ। বল টেম্পারিংয়ের মতো কাণ্ড ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিলেন।
সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। দলের বিশাল সংগ্রহে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৫৭ রান করেছেন ওয়ার্নার। জবাব দিতে নেমে এর ধারেকাছেও যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কুইন্টন ডিক কককে প্রথম ওভারেই মাত্র ৫ রানে বিদায় করে শুরুটা করেন অজি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। এরপর তৃতীয় ওভারে সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকেও (৫) দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেন এই বাঁহাতি গতি দানব।
প্রোটিয়াদের শেষ উইকেট (কাগিসো রাবাদা) তুলে নেন স্টার্ক আর তাতেই ১৫.৩ ওভারে ৯৬ রানে শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। এর মাঝে স্পিনার অ্যাশটন আগার (১৬ রানে ৩ উইকেট) ও অ্যাডাম জাম্পা (১০ ওভারে ২ উইকেট) দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিতে রাখেন বড় ভূমিকা।
এর আগে ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ ওপেনিং জুটিতেই তুলে ফেলেন ১২০ রান। এর মধ্যে অজি অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৫৫ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সময়টা আসলেই খারাপ যাচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের কাছে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে দলটি। এখন অজিদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজকেই পাখির চোখ করতে হবে মার্ক বাউচারের শিষ্যদের।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ জয় অজিদের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখবে সন্দেহ নেই। তাছাড়া অক্টোবর এবং নভেম্বরে বিশ্বকাপের আসর বসবে অজিদের ঘরেই।
তবে এই জয়টা বল টেম্পারিংয়ের স্মৃতি হয়ত পুরোপুরি মুছে দিতে পারবে না, তবে ওয়ার্নার ও স্মিথের জন্য কিছুটা স্বস্তি অন্তত দিতে পারবে। অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শেষদিকে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন স্মিথ। শেষ ওভারে ২ ছক্কা মেরেছেন তিনি আর ওই ওভারে এসেছে ২০ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এমএইচএম