গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আজ (২৯ ফেব্রুয়ারি) সিটি ক্লাব গ্রাউন্ডে সকাল ৯টায় একে অপরের মুখোমুখি হয় ঢাকা ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক। আগে ব্যাট করে ফারুকের বিধ্বংসী ইনিংসে (৪২ বলে ৯৩) ভর করে সিটি ব্যাংকের সামনে রানের পাহাড় (২১২/৫) দাঁড় করায় ঢাকা ব্যাংক।
জবাবে ব্যাট হাতে কম যাননি সিটি ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। তানভিরের ফিফটি, সাইদুলের অপরাজিত ৪৯ রানে ভর করে ঢাকা ব্যাংকের খুব কাছাকাছি যায় সিটি ব্যাংক। ২০ ওভারে থামে ৮ উইকেটে ২০৫ রান করে। চলতি টুর্নামেন্টে এটি সর্বোচ্চ রান হওয়া ম্যাচ (দুই দল মিলে ৪১৭)। ৭ রানে ম্যাচ জেতে ঢাকা ব্যাংক। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা ঢাকা ব্যাংকের ফারুক হন ম্যাচসেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ব্যাংক- ২১২/৫ (২০), ফারুক ৯৩, মুরসালিন ৪১, রশিদ ৩১*; তানভির ৪৩/২, জহিরুল ৯/১, সাইদুল ৫/১।
সিটি ব্যাংক- ২০৫/৮ (২০), তানভির ৫৬, সাইদুল ৪৯*, মানস ৩১; রশিদ ৩১/২, রাশেদুন ৪০/২, শামিউল ৪৫/২।
ফলাফল: ঢাকা ব্যাংক ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ফারুক (ঢাকা ব্যাংক)।
সিটি ক্লাব গ্রাউন্ডে বেলা ১টা ১৫ মিনিটে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ইউসিবি (ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক) ও ব্র্যাক ব্যাংক একে অপরের মুখোমুখি হয়। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৩ রান জমা করে ইউসিবি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ৫ নম্বরে নামা রিমন। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রাজীব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্র্যাক ব্যাংক দুই ওপেনারকে হারায় দ্রুতই। তবে তিনে নামা তারেক সেই ধাক্কা সামলে খেলেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ৫০ বলে ১৩ চারে অপরাজিত ৭৯ রান করে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারেক। ম্যাচসেরার পুরস্কার যায় তারেকের ঝুলিতেই। ১৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ব্র্যাক ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইউসিবি- ১৬৩/৮ (২০), রিমন ৫৩, তানভির ২৩*, ফাহিমুল ২১; রাজি ৩৩/৩, কামাল ২৩/২, শহিদুল ২৩/১।
ব্র্যাক ব্যাংক- ১৬৯/৪ (১৭.৫), তারেক ৭৯, তৌহিদুল ৪২, নাজমুল ২০; আরিফ ১৭/১, রিমন ৩৪/১, ফাহিমুল ৩৭/১।
ফলাফল: ব্র্যাক ব্যাংক ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: তারেক (ব্র্যাক ব্যাংক)।
রাজধানীর ইউল্যাব গ্রাউন্ডে দিনের প্রথম খেলায় ইসলামী ব্যাংক (আইবিবিএল) মুখোমুখি হয় এনআরবি ব্যাংকের। রশিদ-বাবর-আনিসুর-তারেকদের ব্যাটে চড়ে ২১১ রানের পুঁজি পায় ইসলামী ব্যাংক। রশিদ ফিফটি তুলে নিয়ে থামেন ৭৭ রানে। মাত্র ১৪ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তারেক।
বড় রান তাড়া করতে নেমে ইসলামী ব্যাংকের বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি এনআরবি ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার সুমন অপরাজিত ফিফটি করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ৫ উইকেটে ১১০ রান তুলে ২০ ওভার শেষ করে এনআরবি ব্যাংক। ১০১ রানের বড় ব্যবধানে জেতে ইসলামী ব্যাংক। ৫১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন ইসলামী ব্যাংকের রশিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইসলামী ব্যাংক (আইবিবিএল)- ২১১/৩ (২০), রশিদ ৭৭, তারেক ৪৩*, বাবর ৪৩; হারুন ৩২/১, হাসান ৪০/১, আশরাফুল ৪২/১।
এনআরবি ব্যাংক- ১১০/৫(২০), সুমন ৫১, তৌহিদুল ৩৪, নাজমুল ১৪; সাজ্জাদ ১৬/৪, বাশার ৭/১।
ফলাফল: ইসলামী ব্যাংক (আইবিবিএল) ১০১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: রশিদ (ইসলামী ব্যাংক)।
ইউল্যাব গ্রাউন্ডে দিনের ২য় ম্যাচে মুখোমুখি হয় প্রাইম ব্যাংক ও এবি ব্যাংক। আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১২৮ রানের বেশি জমা করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। যদিও বোলারদের কল্যাণে সেটিই যথেষ্ট হয় প্রাইম ব্যাংকের জন্য।
১৯.৩ ওভারে সবক’টি হারিয়ে এবি ব্যাংক করতে পারে কেবল ১০৪ রান। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে রাজীব ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন তৌসিফ, রাজু ও বিভাস। কঙ্কন নেন ১ উইকেট। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪৩ রান করে ম্যাচসেরা হন প্রাইম ব্যাংকের রাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক- ১২৮/৭ (২০), রাকিব ৪৩*, মহতাব ১৮, অনিমেষ ১৪; রোকন ২৪/৩, সুব্রত ১৫/১, রায়হান ৮/১।
এবি ব্যাংক- ১০৪/১০ (১৯.৩), সীমান্ত ২৮, সাজ্জাদ ১৬, মাশরাফি ১৩, রাজীব ১৮/৩, তৌসিফ ১৪/২, বিভাস ১৬/২।
ফলাফল: প্রাইম ব্যাংক ২৪ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: রাকিব (প্রাইম ব্যাংক)।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম