তবে জাতীয় দলে ফেরার আগে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে ডি ভিলিয়ার্সকে। আসন্ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলে নিজের ফিট ও ফর্মে থাকার বিষয়টি প্রমাণ করার পাশাপাশি সাবেক এই প্রোটিয়া অধিনায়ককে জুনের ১ তারিখ থেকে জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়নি ৩৬ বয়সী ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু তিনিসহ ইমরান তাহির ও ক্রিস মরিস যদি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে চান তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেদের প্রস্তুত করে রাখতে হবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) অফিসিয়াল ওয়াবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাউচার বলেন, ‘সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে আইপিএল এবং আমরা তাদের সেখানে খেলতে বলেছি ও এরপর দলে ফেরার রাস্তা ঠিক রাখতে বলেছি। ’
‘এখনও (বিশ্বকাপের আগে) আমাদের বেশকিছু ম্যাচ বাকি আছে। জুনের প্রথমদিকে শ্রীলঙ্কা সফর, ওই সময় তাদের (ডি ভিলিয়ার্স, তাহির ও মরিস) তৈরি থাকতে হবে। তবে তাদের ডাকা হবে কি না সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে হলে তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
গত বছর ভক্তদের চমকে দিয়ে ডি ভিলিয়ার্স আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য অবসর ভেঙে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সবচেয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির মালিক বলেছিলেন, ‘আমি (ফিরতে পারলে) খুবই খুশি হবো। আমি বাউচার (দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন কোচ), গ্রায়েম স্মিথের (নতুন ক্রিকেট পরিচালক) এবং (অধিনায়ক) ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সবাই এটা (আমার ফিরে আসা) বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী। আশা করি সব ঠিকঠাক শেষ হবে। ’
২০১৮ সালের ২৩ মে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ডি ভিলিয়ার্স। যদিও পরে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার বনিবনা হয়নি। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলোতে খেলে যাচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে বিগ ব্যাশ লিগেও। আসন্ন আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলবেন তিনি।
চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। আর পর্দা নামবে ১৫ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস