অজি নারীদের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে মাত্র ৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। একপেশে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় ৮৫ রানে।
প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্নে ব্যাটিংয়ে নেমে উল্টো স্বাগতিক বোলারদের তোপের সামনে পড়ে ভারত। দীপ্তি শর্মা ছাড়া আর কেউ লড়াই করতে পারেনি অজি নারীদের বিপক্ষে। সর্বোচ্চ ৩৩ রানের পাশাপাশি বল হাতেও ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এছাড়া ভারতীয় টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে ভেদা কৃষ্ণমূর্তি (১৯) ও রিচা ঘোষ (১৮) চেষ্টা করেছিলেন লড়াই করার। কিন্তু মেগান শাট ও জেস জোনাসেনের আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কেউ।
মেগান ৩.১ ওভারে ১৮ রান খরচ করে নিয়েছেন সর্বেোচ্চ ৪ উইকেট। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জোনাসেন।
এর আগে রোববার (০৮ মার্চ) নারী দিবসের দিনে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অজি দল। সিদ্ধান্তটি যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ করতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়ার নারীরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ঝড় তুলেন অ্যালিসা হিলি ও বেথ মোনি। দুই ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ১১৫ রান। তাদের এই ভয়ঙ্কর জুটি ভাঙে ইনিংসের ১১.৪ ওভারে। ৩৯ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রান করে রাধা যাদবের বলে আউট হন হিলি। স্ত্রী হিলির ব্যাটিং দেখার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ ছেড়ে নিজ দেশে ছুটে যান অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক।
সতীর্থকে হারালেও অজিদের রানের গতি সচল রাখেন মোনি। ইনিংসের শেষ পযর্ন্ত ব্যাট করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন তিনি। তার ৫৪ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চারে।
এছাড়া অধিনায়ক মেগ ল্যানিং ১৬, অ্যাশলে গার্ডনার ২ ও র্যাচেল হেইন্স ৪ রান যোগ করেন অজিদের স্কোরবোর্ডে। নিকোলা ক্যারি অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ৫ রানে।
এবারই প্রথম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে ভারত। অন্যদিকে এই নিয়ে রেকর্ড পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া। ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছিল তারা। মাঝখানে ২০১৬ সালে শিরোপা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীদের হাতে। তবে তা ২০১৮ সালে ফের ফিরিয়ে আনে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৯ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
ফাইনালে ঝড়ো ব্যাটিং করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অ্যালিসা হিলি আর প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছেন বেথ মোনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
ইউবি