ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) যে করেই হোক আইপিএল আয়োজন করতে চায়। এতে আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে নির্ধারিত সময়ে তথা আগামী সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চায় পিসিবি। এ ব্যাপারে পাকিস্তানভিত্তিক 'জিটিভি নিউজ চ্যানেল'কে পিসিবি'র প্রধান নির্বাহী মোহসিন খান বলেন, 'আমাদের অবস্থান একদম পরিস্কার। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ গড়ানোর কথা। একমাত্র স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা বহাল থাকলেই কেবল এতে কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। '
আইপিএলের কারণে এশিয়া কাপ পেছানোর সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, 'আইপিএলকে বাড়তি সুবিধা দিতে এশিয়া কাপ পিছিয়ে দেওয়া হলে তা আমরা কিছুতেই মানবো না। আমরা শুনতে পাচ্ছি যে, এশিয়া কাপ পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বরে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এশিয়া কাপ পিছিয়ে দেওয়া মানে অন্য সদস্য দেশকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া। এটা ঠিক নয় এবং আমরা এতে সমর্থন দেব না। '
মোহসিন খানের যুক্তি, জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাটিতে আতিথ্য দেওয়ার পর আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাকিস্তান দল নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। ফলে ওই সময়ে তাদের পক্ষে এশিয়া কাপ আয়োজন করা সম্ভব নয়।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে আইপিএল। তবে শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরে শেষদিকে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাহলে আইপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আইসিসি'র টেলিকনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অবশ্য পিসিবি'র পক্ষ থেকে আইপিএল ইস্যু নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি বলে স্বীকার করেছেন মোহসিন খান।
এদিকে একই মিটিংয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়া কিংবা অন্য কোনো দেশে আয়োজন করা যায় কি-না এ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার কথা জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
পিসিবি'র প্রধান নির্বাহী এ ব্যাপারে বলেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়তো দর্শকশূন্য মাঠে খেলার সম্ভাবনা আছে। কারণ আমরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলি তাহলে প্রত্যেক বোর্ডের কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতি হবে। '
মোহসিন খান জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হবে বলে আইসিসি'কে জানিয়েছেন সিএ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় এখন ভ্রমণ নিশেধাজ্ঞা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার মতো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত দেশটির সরকার। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সিএ প্রতি মাসে সদস্য বোর্ডগুলোকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছে বোর্ডগুলো। কারণ, কয়েকটি বোর্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বন্ধ করতে বলছে। আবার অন্যান্য বোর্ড বন্ধ করার বিরোধী। এ ব্যাপারে মোহসিন খান বলেন, 'কিছু বোর্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বন্ধ করতে বললেও বাকিরা এতে রাজি নয়। কিন্তু এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বোর্ডগুলো আরও দুই কিংবা তিন মাস অপেক্ষা করতে রাজি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২০
এমএইচএম