২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে টেস্টের শীর্ষস্থান দখলে রেখেছিল ভারত। আর টানা ২৭ মাস ধরে টি-টোয়েন্টির শীর্ষে ছিল পাকিস্তান।
টেস্টে শীর্ষে থাকা অজিদের রেটিং পয়েন্ট এখন ১১৬। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা নিউজিল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট ১১৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ র্যাংকিংয়ে ভারতের অবনতি হয়েছে দুই ধাপ। কোহলিদের রেটিং পয়েন্ট ১১৪। মানে শীর্ষে অবস্থানকারী তিন দলের পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র ১ পয়েন্ট করে।
শুক্রবার (১ মে) র্যাংকিংয়ের সর্বশেষ আপডেট থেকে ২০১৬-১৭ মৌসুম বাদ দেওয়ার কারণে র্যাংকিংয়ে এই পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে ভারত ১২টি টেস্ট খেলে মাত্র ১টিতে হেরেছিল। পাঁচটি সিরিজ ঘরে তুলেছিল দলটি, এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজও আছে। এছাড়া একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া ভারত ছাড়া শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের মুখ দেখেছে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে অবশ্য শীর্ষেই আছে ভারত। কোহলিবাহিনীর পয়েন্ট ৩৬০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অজিদের পয়েন্ট মাত্র ৬৪।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ২৭৮। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ২৬৮ এবং ২৬৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ভারত। এরপরই পাকিস্তান। অর্থাৎ শীর্ষস্থান থেকে সোজা চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে পাকিস্তান (২৬০)। পঞ্চম স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা (২৫৮)।
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এখনও শীর্ষেই আছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১২৭। ১১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তৃতীয় স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড (১১৬)। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা (১০৮) এবং ১০৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া।
এই মৌসুমে ইংল্যান্ডের মাটি থেকে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া ঘরের মাটিতে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টে অপরাজেয়। আর টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারার পর ঘরের মাটিতে টানা ৬ ম্যাচে অপরাজেয় ছিল অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে টেস্ট র্যাংকিংয়ে নবম স্থানে থাকা বাংলাদেশের ৫ রেটিং পয়েন্ট (৫৫) কমেছে। তবে ওয়ানডেতে ১ রেটিং পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের ৭ম স্থানে থাকা দলটির রেটিং পয়েন্ট এখন ৮৮। তবে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ৮ম স্থানে থাকা দলটির রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯-এ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২০
এমএইচএম