পাকিস্তানের স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এ কথা জানান, ৪২ বছর বয়সী রানা। তিনি আরও দাবি করেন, অধিনায়কের বিরুদ্ধে সিনিয়র ক্রিকেটারদের এই ষড়যন্ত্রে তিনি জড়াতে চাননি, তাই পুরো সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন।
রানা নাভেদ বলেন, ‘২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব-আমিরাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দু’টি ম্যাচে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। কারণ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার চেয়েছিলেন যে, তারা ভালো খেলবেন না। ঐ বছরই দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর কয়েকজন ক্রিকেটার এক সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন এবং তারা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ইউনিস খানকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার। আমি চেয়েছিলাম, পুরো সফরে বাইরে থাকতে। আমি ইউনিসকে এটা জানিয়েছিলাম যে, কয়েকজন ক্রিকেটার আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং আমি তাদের সঙ্গে যোগ দিই এটা তারা চাচ্ছে। ’
রানা নাভেদ ইউনিসের বিরুদ্ধে না যাওয়ার জন্য বেশ ভালোভাবে পণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ইউনিস খান অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার ব্যক্তিত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছিলো। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার (তিনি নাম বলেননি) যারা অধিনায়কত্বটা সেই সময় চেয়েছিলেন তারাই ইউনিসের অধীনে খেলতে চাননি। ’
সেই সময় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন মিসবাহ-উল-হক, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ইউসুফ, শোয়েব মালিক, সাঈদ আজমল ও কামরান আকমল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলো। যদিও প্রথম ম্যাচ ১৩৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিলো পাকিস্তান। এরপর পরের দুই ম্যাচে ৬৪ ও ৭ রানে হেরেছিলো তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২০
আরএআর/ইউবি