ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রয়োজনে বিনা পারিশ্রমিকে দেশের জন্য কাজ করবো: পাইলট

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
প্রয়োজনে বিনা পারিশ্রমিকে দেশের জন্য কাজ করবো: পাইলট খালেদ মাসুদ পাইলট: ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকের একটি পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ইচ্ছা, সেই পদে আরও একজনকে নিয়োগ দেওয়ার। সেজন্য সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে যোগ্য নির্বাচক খুঁজছে বিসিবি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটকে নির্বাচক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু মতের মিল না হওয়ায় তা ফিরিয়ে দেন তিনি। 

রোববার (১০ মে) বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাইলট নিজেই।

প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়েছেন, নির্বাচক হিসেবে পারিশ্রমিক নিয়ে বিসিবির সঙ্গে একমত না হওয়ার কারণেই তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

প্রয়োজনে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন পাইলট।  

৪৪ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যান-উইকেটরক্ষক বলেন, ‘আমি আসলে নির্বাচক হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিইনি। এটার জন্য বিসিবি যে পারিশ্রমিকের কথা বলেছে সেটা খুবই অল্প। এই পারিশ্রমিকে ফুলটাইম কাজ করা সম্ভব নয়। বিসিবি যে পারিশ্রমিকের কথা বলেছে সেটাতে পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচকের যে কাজ সেটা হবে না। কারণ নির্বাচককে সবসময় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের খেলা দেখতে হয়। আমি যখন পেশাগত হিসেবে এই দায়িত্ব নেবো তখন কিন্তু আমাকে অন্যসব কাজ ফেলে এখানে সময় দিতে হবে। তখন কিন্তু পারিশ্রমিকের একটা ব্যাপার চলে আসে। সেই অর্থে প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দিইনি বলেছি। ভালো পারিশ্রমিক হলে আমি অবশ্যই দায়িত্ব নেবো। ’ 

দেশের স্বার্থে দরকার হলে বিনা পারিশ্রমিকে চাপমুক্ত হয়ে কাজ করতে চান বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। পাইলট মনে করেন, নির্বাচকের কাজটা কিন্তু মোটেও সহজ নয়। তাছাড়া জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক যখন নির্বাচকের দায়িত্ব নেবেন তখন তার সম্মানিটাও সেভাবে বিবেচনা করা উচিৎ।

সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আপনি যখন তৃতীয় শ্রেণির ক্রিকেটার দিয়ে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করাবেন তখন তার পারিশ্রমিক হবে এক রকম। আবার জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক যখন নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করবেন তখন পারিশ্রমিক হবে আরেক রকম। সেজন্য আমি দরকার হলে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে দেব কিন্তু চাপ ছাড়া কাজ করবো। আমার সময় থেকে অতিরিক্ত সময় বের করে দেশের জন্য ব্যয় করবো। নির্বাচকের দায়িত্ব নিতে হলে নিয়ম মেনে নেওয়া উচিৎ যে, ৯-৫টা পর্যন্ত বিসিবিতে যাবো সবকিছু দেখাশুনা করবো। ’ 

বাংলাদেশ দলের বর্তমান নির্বাচকের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে কিন্তু হাবিবুল বাশার সুমন সাবেক অধিনায়ক। সেক্ষেত্রে তারা যে পারিশ্রমিক পান সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট নন পাইলট।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের নির্বাচকের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে কিন্তু আমি সন্তুষ্ট নই। তাদের উপযুক্ত সম্মানি দেওয়া উচিৎ। দলের অন্যান্য স্টাফদের যে সুবিধা দিচ্ছেন তাদেরও সেই সুবিধা দিতে হবে। তাহলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে তাদের কাছ থেকে। নিজের দেশের কোচিং স্টাফদের যথার্থ সম্মানটা আপনার দেওয়া উচিৎ। ’  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
আরএআর/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।