ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তামিম একথা জানিয়েছেন। ক্যারিয়ারে ভালো কিছু করতে হলে রান করার পাশাপাশি ফিটনেস নিয়েও কাজ করতে হবে, কোহলিকে দেখে এমন শিক্ষা নেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমার এ কথা বলতে কোনো বাধা নেই যে, আমার মনে হয় এটা সবার জানা উচিৎ, ২-৩ বছর আগেও আমি যখন দেখেছি বিরাট কোহলি জিমে কাজ করছে, রানিং ও ফিটনেসের অন্য কাজ করছে, তখন নিজেই লজ্জা পেতাম। নিজেকে নিয়ে লজ্জায় পড়ে যেতাম আর ভাবতাম এই ছেলেটা সম্ভবত আমারই বয়সী, কতো কাজ করছে ফিটনেস নিয়ে, অনেক ট্রেনিং করছে, সাফল্য পাচ্ছে আর আমি হয়তো তার অর্ধেক কাজও করছি না। তার পর্যায়ে যেতে না পারলেও তার পথ অনুসরণ করতে তো কোনো সমস্যা নেই। চেষ্টা তো করতে পারি। হয়তো তার ৫০ ভাগ, ৩০-৪০ বা ৬০ ভাগ, যেটাই হোক তার কাছাকাছি তো যেতে পারবো। ’
ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুফলও এখন পাচ্ছেন তামিম। কোহলির পথ অনুসরণ করেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন ৩১ বছর বয়সী ওপেনার। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর থেকে যদি আপনি এখন পযর্ন্ত আমাকে দেখেন, আমার ওজন ৯ কেজি কমেছে। সেই সময় থেকেই ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করা শুরু করেছি আমি। আমাদের ট্রেইনারকেও কৃতিত্ব দেব। ফিটনেস ভালো থাকলে সেটার সুবিধা অনেক বেশি। ক্লান্তি অনুভব হয় কম। দ্রুত বলের কাছে যাওয়া যায় এবং মানসিকভাবেও ইতিবাচক থাকা যায়। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, নিজেকে নিয়ে ভালো অনুভূতি কাজ করে সবসময়। ’
এসময় তামিম তার সতীর্থ মুশফিকের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমাদের দলেও কিন্তু দারুণ একজন উদাহরণ আছে, সে হলো মুশফিকুর রহিম। তার ক্রিকেটীয় বিষয়ের দিকে আমি যাব না। কিন্তু ফিটনেসের দিক থেকে সে নিজেকে নিয়ে যেভাবে কাজ করে, সেটাই বলছি। তাকে অনুসরণ করা যায়, বিরাট কোহলিও অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। মুশফিকও বাংলাদেশ দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটারের আদর্শ হতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
আরএআর/ইউবি