১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেও খালি হাতে ফিরেছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল বিশাল ব্যবধানে।
সোহেলের দাবি, তৎকালীন পাকিস্তান ক্রিকেটের ম্যানেজমেন্ট নাকি অনেকটা জোর করেই আফ্রিদিকে দলে জায়গা করে দেন। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি নিজে ওই সময় অধিনায়ক হলে আফ্রিদির জায়গায় ইউসুফকেই নিতেন। তিনি বলেন, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনোটাই করতে পারেননি আফ্রিদি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আমির সোহেল বলেন, ‘১৯৯৮ সালে আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, নির্বাচকদের সঙ্গে আমরা আলাপ করে নিয়েছিলাম যে বিশ্বকাপে আমাদের নিয়মিত একজন ওপেনার দরকার যে উইকেটে টিকে থাকতে এবং নতুন বল খেলতে সক্ষম। ’
১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে ২২ ওয়ানডে এবং ১৯৯৮ সালে ৬টি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া সোহেল মনে করেন, বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন সেসময়ের নির্বাচকরা।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, তারা (নির্বাচকরা) আফ্রিদিকে বেছে নিলেন। সে ফ্ল্যাট ও নিচু বাউন্সি উইকেটে ভালো ব্যাট করতো। কিন্তু কঠিন কন্ডিশনে তাকে নেওয়ার একপ্রকার জুয়া খেলার মতো। সে না পারত বল করতে না ব্যাট করতে। ওয়াসিম আকরামের জায়গায় আমি অধিনায়ক হলে, মোহাম্মদ ইউসুফকে নিতাম। ’
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ব্যাট ও বল হাতে চরম ব্যর্থ হয়েছিলেন আফ্রিদি। দলের হয়ে ৭ ইনিংসে ব্যাট করে ১৩.২৮ গড়ে মাত্র ৯৩ রান করেছিলেন তিনি। ফাইনালে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৩ রান। তার দল অলআউট হয় মাত্র ১৩২ রানে। জবাবে ২ উইকেট হারিয়েই শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া।
আমির সোহেল বলেন, ‘আমার মতে, বিশ্বকাপে আমাদের হেরে যাওয়ার পেছনে দুটি কারণ ছিল। একটি হলো টিম কম্বিনেশন ঠিক ছিল না এবং টসে জিতেও ব্যাটিং বেছে নেওয়া। আমার অভিজ্ঞতা বলে, পুরো বিশ্বকাপ আমরা স্থানীয় দলের মতো খেলেছি। আমাদের এক ম্যাচে একধরনের লাইন-আপ, পরের ম্যাচেই ব্যাটিং অর্ডার বদলে গেল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২০
এমএইচএম