লক্ষ্যটা ছিল পাহাড়সম। তবে অধিনায়ক ইয়ন মরগান ও ডেভিড মালানের ঝড়ো ইনিংসে সবকিছুই সহজ মনে হলো।
এটি আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ইংলিশদের রেকর্ড রান তাড়া করার জয়। এর আগে ১৭৪ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল তারা।
রোববার ম্যানচেস্টারে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটাও ভালো করে ইংল্যান্ড। ৬.২ ওভারে দুই ওপেনার টম ব্যান্টন ও জনি বেয়ারস্টো ৬৬ রান তোলেন। তবে আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা ব্যান্টন ব্যক্তিগত ২০ রানে শাদাব খানের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন। আর পরের বলেই ৪৪ রানে থাকা বেয়ারস্টোকে শাদাব ইমাদ ওয়াসিমের ক্যাচে পরিণত করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে পাকিস্তানি বোলারদের পাত্তাই দেননি মরগান-মালান পার্টনারশিপ। এ জুটির ১১২ রানই মূলত জয়ের ভীত গড়ে দেয়। মালান ৩৬ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটিকরে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ১৪তম হাফসেঞ্চুরি করা মরগান ৩৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৬ রান করে হারিস রউফের বলে বিদায় নেন।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাদাব ৩টি ও হারিস ২টি উইকেট পান।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৭২ রান তোলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও ফখর জামান। ফখর ২২ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ করে রশিদ খানের বলে আউট হন।
১৪তম হাফসেঞ্চুরি করা বাবর ৪৪ বলে ৭টি চারে ৫৬ করে সেই রশিদেরই শিকার হন। তবে তিন নাম্বারে নেমে তাণ্ডব চালান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। টম কারানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৯ রান করেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি ১২তম ফিফটি।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে রশিদ ২টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ক্রিস জর্ডান ও কারান।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে মরগানের হাতে।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
এমএমএস