১৬৩ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী জুটিতে ১১ ওভারেই ৯৮ রান। আর ১৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১২৪।
শুক্রবার সাউদাম্পটনে প্রথমে ব্যাট করা ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে। জবাব দিতে নেমে পুরো ওভার খেললেও ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারী দলটি।
এদিন ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ওপেনিং জুটিতে ৯৮ তুলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে ইংলিশ দলনেতা ইয়ন মরগানের চতুর নেতৃত্ব ও বোলারদের লড়াকু মানসিকতায় শেষ পর্যন্ত আর জয় পেল না দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ৪৭ বলে ৪টি চারে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। আর ৩২ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান আসে ফিঞ্চের ব্যাট থেকে।
টম কারেনের শেষ ওভারটি রোমাঞ্চ জাগায়। অজিদের জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার হলে দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সম্ভাবনা জাগান। তবে প্রথম বলের মতো তৃতীয় বলটিতেও কোনো রান আসেনি। আর শেষ তিন বলের প্রতিটিতে ২ রান করে আসে।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে জোফরা আর্চার ও আদিল রশিদ দুটি করে উইকেট পান। মার্ক উড নেন একটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার ও ডেভিড মালানের ব্যাট হাসলেও এক পর্যায় ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। অবশ্য মালানে দৃঢ়তায় দেড়শ রানের বেশি করতে পারে তারা। বাটলার ২৯ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন। আর মালান ৪৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৬ করে বিদায় নেন।
অজি বোলারদের মধ্যে অ্যাশ্টন অ্যাগার, কেন রিচার্ডসন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২টি করে উইকেট নেন। প্যাট কামিন্স একটি উইকেট দখল করেন।
ম্যাচ সেরা হন ডেভিড মালান।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২০
এমএমএস