ইনিংসের শেষ বলে স্ট্রাইকে ব্যাট করছেন কাইরন পোলার্ড। আর বোলিং প্রান্তে ইসুরু উদানা।
তবে সুপার ওভারে আর রক্ষা করতে পারলেন না পোলার্ড। মুম্বাইর দেওয়ার ৮ রানের টার্গেটে এবি ডি ভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলি দেখেশুনে খেললে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু জয় তুলে নেয়।
এর আগে আইপিএলের ১০ম ম্যাচে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মূল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ব্যাঙ্গালুরু ৩ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায়। জবাবে ব্যাট করতে নামা মুম্বাই ৫ উইকেট হারিয়ে সেই ২০১ রান করলে ম্যাচ টাই হয়।
২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা মুম্বাইর শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় তিন টপঅর্ডার রোহিত শর্মা, কুইন্টন ডি কক ও সুরিয়াকুমার যাদবকে হারায়। মাঝে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে বিদায় নেন হার্দিক পান্ডিয়াও। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে হাল ধরেন ইশান কিশান ও পোলার্ড।
এদুজন মিলে ১১৯ রানের বিশাল এক পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান দরকার হলে তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে সেই কাজও সেরে রেখেছিলেন। তবে পঞ্চম বলে তুলে মারতে গেলে ডিপ মিডউইকেটে দেবদূত পাদ্দিকালের হাতে ধরা পড়েন। দারুণ ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই তরুণ ব্যাটসম্যান এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ৫৮ বলে ২টি চার ও ৯টি ছক্কায় ৯৯ রান করেন তিনি। আর অপরাজিত থাকা পোলার্ড মাত্র ২৪ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬০ করেন।
ব্যাঙ্গালুরু বোলারদের মধ্যে উদানা সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান। এছাড়া ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজভেন্দ্র চাহাল ও অ্যাডাম জাম্পা একটি করে উইকেট দখল করেন।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাদ্দিকাল, অ্যারন ফিঞ্চ ও ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ো ফিফটিতে দুই’শ রানের বিশাল গণ্ডি পার করে ব্যাঙ্গালুরু। ৪০ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৪ করেন পাদ্দিকাল। ৫২ রান করা ফিঞ্চ ৩৫ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। তবে বরাবরের মতোই বিধ্বংসী ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২৪ বলে তিনি সমান চারটি চার ও ছক্কা মেরে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ১০ বলে ২৭ করেন শিভাম ডুবে। তবে আইপিএলের এই মৌসুমে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা অধিনায়ক কোহলি ১১ বল খেলে মাত্র ৩ রানে বিদায় নেন।
মুম্বাই বোলারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট ২টি ও রাহুল চাহার একটি উইকেট দখল করেন।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন এডি ডি ভিলিয়ার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমএমএস