ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাষট্টিতে পা রাখলেন তিরাশির নায়ক কপিল দেব

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২১
বাষট্টিতে পা রাখলেন তিরাশির নায়ক কপিল দেব কপিল দেব/ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের সফলতম ক্রিকেটার কপিল দেব। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের হাত ধরেই প্রথম বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পায় ভারত।

১৯৮৩ সালের ওই বিশ্বকাপ ভারতের ক্রিকেটকে আমূল বদলে দিয়েছিল।   

আজ বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের ৬২তম জন্মদিন। ১৯৫৯ সালের এই দিনে (৬ জানুয়ারি) ভারতের চণ্ডীগড়ে জন্মগ্রহণ করা কপিল ভারতের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত মহানায়ক। ৪০ বছর আগে ভারতকে তিনি যেভাবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তা ক্রিকেট ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও কপিল দেবের একসময়ের সতীর্থ সন্দ্বীপ পাতিল একবার বলেছিলেন, 'ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কপিলের অবদান আসলে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। তার কথা বলতে গেলে দিন, সপ্তাহ, মাস এমনকি বছর কেটে যাবে। '

১৯৭৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা কপিল ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান ও বোলারদের কাছে ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। টেস্টে তার রানসংখ্যা ৫,২৪৮, ওয়ানডেতে ৩ হাজার ৭৮৩ এবং বল হাতে তার উইকেটসংখ্যা টেস্টে ৪২৪টি এবং ওয়ানডেতে ২৫৩টি।  

মাত্র ২১ বছর বয়সেই প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে ১০০ উইকেট ও ১০০০ রানের মাইলফলক গড়েছিলেন কপিল। ১৯৭৮ সালে অভিষেকের পর আর থামেননি তিনি। ১৯৮২ সালে আরেক কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারকে সরিয়ে তাকে অধিনায়ক করা হয়। এরপর ১৯৮৩ সালের ওই বিশ্বকাপ জয়।  

মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে টেস্টে ৮টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি আছে কপিলের। উইকেট নিয়েছেন ৪২৪টি। টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের পাশাপাশি ৪০০ উইকেটের কীর্তি নেই আর কারও। বল হাতে ৮৩ রানে ৯ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা। ব্যাট হাতে ১৬৩ রান। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ফাস্ট-মিডিয়াম বোলারের টেস্ট পারফরম্যান্স দারুণ হলেও ওয়ানডের পারফরম্যান্স তেমন আহামরি নয়। ২২৫ ওয়ানডে ২৫৩ উইকেট আর ব্যাট হাতে মাত্র ১টি সেঞ্চুরি। তবে তার যে ব্যাপারটা ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তা হলো- ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কখনোই রান আউট হননি তিনি।

কপিল দেবের ক্যারিয়ারের হাইলাইট বলা যায় ১৯৮৩ বিশ্বকাপকে। সেবার দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার নজির স্থাপন করেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচ খেলে একবারও ব্যর্থ হননি তিনি। ৬০.৬ গড়ে আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৮.৯৯! ইংল্যান্ডের মাটিতে ওই আসরে একমাত্র রড মার্শের স্ট্রাইক রেট তার চেয়ে বেশি ছিল।  

১৯৮৩ বিশ্বকাপে দলের চাপে পড়ার মুহূর্তে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়াকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছিলেন কপিল দেব। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ১৩৮ বলে ১৭৫ রানের ইনিংসটি তো ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে বিবেচ্য। আর পুরো আসরে ওভার পিছু মাত্র ২.৯১ রান খরচ করা থেকে সহজেই বোঝা যায়, বল হাতে কতটা কার্যকর ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের শিরোপার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও যায় তার ঝুলিতে।

কপিল দেবের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। এছাড়া সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেট তারকারাও কিংবদন্তিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।