ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

আমিরের সমর্থনে মুখ খুললেন আফ্রিদি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
আমিরের সমর্থনে মুখ খুললেন আফ্রিদি মোহাম্মদ আমির ও শহীদ আফ্রিদি/ছবি: সংগৃহীত

গত ডিসেম্বরে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। অবসর ঘোষণার পেছনে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হঠকারিতাকে দায়ী করেন এই প্রতিভাবান বাঁহাতি বোলার।

পিসিবিও চুপ থাকেনি। পাল্টা আমিরকে একহাত নিয়েছেন পিসিবির কর্তা ব্যক্তিরাও। তবে বিষয়টা আরও ভালোভাবে সামলানো যেত বলে মনে করেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।

লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আফ্রিদি বলেন, কোচ আর ফাস্ট বোলারদের মধ্যে ঝামেলা পাকিস্তান ক্রিকেটের অনেক 'পুরনো রোগ'। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে তার ঝগড়ার উদাহরণ তুলে ধরেন। আফ্রিদির মতে, আমিরকে ডেকে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা উচিত ছিল পিসিবির। তিনি বলেন, 'দেশের স্বার্থে তাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। '

গত ১৭ ডিসেম্বর সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আমির। এ নিয়ে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ‘তার (আমির) কোনো আকাঙ্ক্ষা বা অভিপ্রায় নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার প্রতি এবং তাকে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য বিবেচনা করা উচিত হবে না। ’

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের প্রসঙ্গে আমির বলেন, ‘আমি এখন ক্রিকেট ছাড়ছি কারণ আমি মানসিকভাবে অত্যাচারিত হচ্ছি। আমি মনে করি না, এমন অত্যাচার সহ্য করতে পারবো। যে সময়টায় দলে ছিলাম, সেই ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পযর্ন্ত আমাকে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। আমাকে অসংখ্যবার বলা হয়েছে, পিসিবি আমার ওপরে অনেক বিনিয়োগ করেছে। আমার ওপর সদয় ছিলেন কেবল এমন দু’জন লোকের কথা বলব: নাজাম শেঠি (সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান) এবং শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক)। '

কিন্তু যেসব কারণ দেখিয়ে আমির অবসরে গেছেন, সেসব কথায় কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক। তার মতে, আমির তিলকে তাল বানিয়েছেন। মিসবাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমিরের ঘটনায় ওয়াকারের হাত থাকা নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু এসবে কোনো সত্যতা নেই। ৬ জন নির্বাচক ছিলেন, সঙ্গে আমি প্রধান নির্বাচক। তারপর অধিনায়ক তো ছিলই। কাজেই কেবলমাত্র একজনই দল নির্বাচনে প্রভাব রেখেছে, এটা অসম্ভব। '

মিসবাহ আরও বলেন, 'পারফরম্যান্সের কারণেই তাকে কেউ দলে নিতে চায়নি। আমি বুঝতে পারছি না, কেন সে এত কিছু তৈরি করছে এবং গোটা দৃশ্যপটকে তিল থেকে তাল বানিয়েছে। সে দলে জায়গা পায়নি, এরপর প্রক্রিয়া ছিল খুব সাধারণ। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে নিজের ফর্ম দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা আদায় করে নেওয়া। বাকি সবকিছু এখানে অবান্তর। স্রেফ সিনিয়র বোলার বলেই তো কাউকে নেওয়া যাবে না, ফর্মও দেখাতে হবে। '

এর আগে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমির যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন, তখন মিসবাহ ছিলেন অধিনায়ক। দলের অনেক ক্রিকেটার আমিরকে ফেরানোর বিরুদ্ধে ছিলেন।

পাকিস্তানের হয়ে আমির ৩৬টি টেস্ট, ৬১টি ওয়ানডে এবং ৫০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সব মিলিয়ে ২৫৯টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) উদ্বোধনী সংস্করণে। আমিরকে পাকিস্তানের জার্সিতে শেষবার দেখা গেছে চলতি বছরের শুরুতে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা মিসবাহ-উল-হকের দলে জায়গা হয়নি তার। মূলত এরপরই অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।