শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। আফগানদের দাপুটে বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
লিটনের ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৫ রান। আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।
সিরিজের প্রথম তি-টোয়েন্টিতে আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে টানা ৮ ম্যাচে জয়ের দেখা না পাওয়া বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে টাইগারদের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে মুনিম শাহরিয়ারের। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো ইয়াসির আলী রাব্বিরও।
ব্যাটিংয়ের শুরুতে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে নড়বড়ে শুরু করেন নাঈম শেখ। তবে অন্যপ্রান্তে রান তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান মুনিম। কিন্তু দলকে ১০ রানে রেখে ফারুকির বলেই লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ফেরেন নাঈম। ৫ বল খেলে ২ রান করেছেন এই ওপেনার। এরপর মুনিমও বেশিদূর যেতে পারেননি। আফগান স্পিনার রশিদ খানের বলে লেগ বিফোর হওয়ার আগে অভিষেক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৭ রান। যদিও তিনি রিভিও নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি।
দলীয় ২৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর সাকিবের উইকেটও দ্রুতই হারায় বাংলাদেশ। ৬ বলের মোকাবিলায় ৫ রান করেই আফগান স্পিনার কায়েস আহমেদের বলে মুজিব উর রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দেশ সেরা ওপেনার। তবে অন্যপ্রান্তে তখন সেট হয়ে দারুণ কিছু স্ট্রোক খেলতে শুরু করেছেন লিটন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। রিয়াদও নিজের মুখোমুখি চতুর্থ বলে হাঁকান ছক্কা। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। টাইগার অধিনায়ক ৭ বলে ১০ রান করে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে ভাঙে ৩৭ রানের জুটি।
দলীয় ৮০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে লিটন অটল থেকে ছুটতে থাকেন ফিফটির দিকে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ফর্ম টি-টোয়েন্টিতেও টেনে আনেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ও আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিতে ৩৪ বল খেলেন তিনি; চার হাঁকান ৩টি, ছক্কা ২টি। ১৭তম ওভারে ফারুকির স্লোয়ারে শর্ট ফাইন লেগে ওমরজাইয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিলে লিটনের ইনিংস থামে ব্যক্তিগত ৬০ রানে। ৪৪ বল স্থায়ী ইনিংসে তিনি হাঁকান আরও এক বাউন্ডারি।
লিটনের সঙ্গে ৩৮ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু জুটি ভাঙার পরের ওভারেই ওমরজাইয়ের বলে কভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার (২৫)। ২৪ বল স্থায়ী ইনিংসটি ২টি চারে সাজানো। এরপর আরেক অভিষিক্ত রাব্বির শুরুটাও ভালো হয়নি। ইনিংসের শেষ ওভারে রশিদ খানের দারুণ থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে রশিদের থ্রোয়েই রান আউট হন মেহেদি (৫)। শেষ বল খেলতে আসা শরীফুল বাউন্ডারি হাঁকালে আফগানদের সামনে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
বল হাতে আফগানিস্তানের ফারুকি ও ওমরাজাই ২টি করে এবং রশিদ ও কায়েস ১টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এমএইচএম