তৃতীয় সেশনে জোড়া সাফল্যের দেখা পেল বাংলাদেশ। প্রথমে সেঞ্চুরি হাঁকানো লঙ্কান ব্যাটার দীনেশ চান্ডিমালকে তামিম ইকবালের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন।
ডিকভেলাকে ডাউন দ্য উইকেটে আসতে দেখে বল অফ স্ট্যাম্পের বাইরে ফেলেন সাকিব। লঙ্কান ব্যাটার সেটা মিস করলে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন উইকেটকিপার লিটন দাস। সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের ইশারা করলে শুরুতেই আল্ট্রা-এজ রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটের কানায় লেগেছে। ফলে স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনে ক্যাচ আউট উপহার পান সাকিব। ডিকভেলা বিদায় নিয়েছে ৯ রানে। আর সাকিব তুলে নিয়েছেন ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেট।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৯৩ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। সফরকারীদের লিড ১২৮ রানের।
৫ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতে একদমই নির্বিষ বোলিং করেন বাংলাদেশের বোলাররা। আড়াই ঘণ্টার প্রথম সেশনে একমাত্র সুযোগ তৈরি করেছিলেন মুমিনুল হক।
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগেই শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। দিনের শুরুটা করেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। এরপর একে একে সাকিব আল হাসান, খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হক আসেন বোলিংয়ে।
কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেননি কেউই। একমাত্র মুমিনুলই একবার উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। তার অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল চান্ডিমাল ডিফেন্ড করতে গেলে স্টাম্পের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে যায়, আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লঙ্কান ব্যাটার।
এর বাইরে পুরো সেশনজুড়েই ঠিকঠাক লাইন-লেন্থ খুঁজে পাননি বোলাররা। আগের দিন বিকেলে উইকেটে টার্ন দেখা গেলেও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দেখা যায়নি তেমন কিছুই।
লাঞ্চের পর সেঞ্চুরির আগেই ম্যাথিউসকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মোসাদ্দেকের বলে তাকে এলবিডব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ম্যাথিউস। এরপরই সেঞ্চুরি করেন তিনি। একটু পরই সেঞ্চুরি পেয়ে যান তার সঙ্গী চান্ডিমালও।
চা বিরতির আগে অবধি ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৫৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১২৩ ও দিনেশ চান্ডিমাল অপরাজিত ছিলেন ১২০ রানে। তাদের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে ছুটতে থাকে শ্রীলঙ্কা। টানা দুই সেশন বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করেছেন দীনেশ চান্ডিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এই দুই সেশনে কোনো উইকেট ফেলতে পারেননি টাইগার বোলাররা।
অবশেষে তৃতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারে 'সেঞ্চুরিয়ান' চান্ডিমালকে ফেরালেন এবাদত হোসেন। এই ডানহাতি পেসারের স্লোয়ারে সজোরে ব্যাট হাঁকান চান্ডিমাল। কিন্তু কভারে দাঁড়ানো তামিম ইকবাল দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন।
বিদায়ের আগে ২১৯ বলের মোকাবিলায় ১২৪ রান করেন চান্ডিমাল। ১১টি চার ও ১ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস। ম্যাথিউস ও তার জুটিতে আসে ১৯৯ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এমএইচএম