ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ইডিইউতে মেজবান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ইডিইউতে মেজবান ইডিইউর ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান

চট্টগ্রাম: আরও একবার মেজবান আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)।  

চট্টগ্রামের যেকোনও উৎসবে পরিপূর্ণতা এনে দিতে জুড়ি নেই মেজবানের।

কয়েকশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আপ্যায়ন করলো ইডিইউ। তিনটি স্কুলের অধীনে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সাতটি বিভাগে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্প্রিং ২০২৩ সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রায় দুই সহস্রাধিক মানুষের এ আয়োজনে সকাল থেকেই ইডিইউ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে লোকারণ্য। ইডিইউর এমন আপ্যায়নে অত্যন্ত খুশি আগত অতিথিরা। অভিনব এ উদ্যোগে অভিভূত তারা। মেজবানে অমুসলিমদের জন্যও রাখা হয় বিশেষ ব্যবস্থা।

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতি আস্থা রাখায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, সন্তানের ভালোমানের উচ্চশিক্ষা নিয়ে চট্টগ্রামের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা ও দুর্ভোগ কমাতে ইডিইউ নিজেকে ক্রমাগত উন্নত করে চলেছে। এখন আর চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের ঢাকা বা দেশের বাইরে গিয়ে পড়ালেখা করতে হচ্ছে না। বরং ইডিইউ থেকেই শিক্ষার্থীরা উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। বিশ্বের আধুনিকতম প্রযুক্তি ও পাঠদান কৌশল সন্নিবেশিত হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই, যারা ইডিইউতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ পেয়েছে, সামনে তাদের জন্য এক অভিনব অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, জীবনে উন্নতির পাথেয় সংগ্রহ করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা ও দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যে নানান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় গড়ে তুলছেন শিক্ষার্থীদের।

অতিথির বক্তব্যে দৈনিক পূর্বকোণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইডিইউ চমৎকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আমার ছেলে-মেয়ে ইডিইউ থেকেই গ্র্যাজুয়েট হয়েছে। তাদের বিকাশে ইডিইউর ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে ইডিইউ নিজেকে অনন্য স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সামস-উদ দোহার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক, ইডিইউর প্রাক্তন ট্রেজারার প্রফেসর সিদ্দিক আহমদ, ইডিইউর প্রথম শিক্ষক ও প্রাক্তন ডিন প্রফেসর ড. কাইয়ুম চৌধুরী, ইডিইউর রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া ও মানবসম্পদ পরিচালক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন দ্বিতীয় সেমিস্টারে পাঠরত ফাইজা আকতার। তিনি ইডিইউ উইম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট ফান্ড প্রোগ্রামের আওতায় শতভাগ বৃত্তিতে পড়ছেন ইডিইউতে। নবীনদের সঙ্গে তিনি তার এ অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ভাগ করে নেন।

ডিনসহ সকল শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী এ আয়োজন। নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। শিক্ষার্থীদের ইডিইউর শিক্ষাপদ্ধতি ও কোর্সগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।