ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাটের নিচে মিলল কোটি টাকার হাতির দাঁত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
খাটের নিচে মিলল কোটি টাকার হাতির দাঁত

চট্টগ্রাম: নগরের পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এলাকা থেকে কোটি টাকা মূল্যের দুষ্প্রাপ্য ১৪ কেজি বন্যহাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ মো. আব্দুল মালেক (৬৮) নামে এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।  

শুক্রবার (২৬ মে) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতার মো. আব্দুল মালেক, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার দীতেশ্বর এলাকার মৃত হাজী আব্দুল আলীর ছেলে।  

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, শুলকবহর এলাকার একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি রুমে বন্য প্রাণী নিধনকৃত হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া সংগ্রহে রেখে বিক্রয় করার চেষ্টা করছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে অভিযান চালিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে মো. আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়। বাসার একটি রুমের খাটের নিচ থেকে একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ৪ টি হাতির দাঁত, ছোট বড় ও মাঝারি আকারের ২০ টি হাতির দাঁতের খন্ডাংশ (মোট ১৪ কেজি) এবং ১ টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন যাবৎ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল হতে পারমিট ব্যতিত বন্যপ্রানী (হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া) বিভিন্ন অংশ বিশেষ সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।  

তিনি আরও জানান, আব্দুল মালেককে মূলত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তিনি ১৯৭৬ সালে থেকে তার বাবার সঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলার বাগাইছড়ি এলাকায় হাতি দেখভাল করার জন্য আগমন করেন। তার বাবার কয়েকটি হাতি ছিল। ১৯৯৮ সালে তার বাবা মারা গেলে হাতির ব্যবসা দেখভাল করার জন্য তিনি ছয় বছর যাবত রাঙ্গামাটি জেলার বাগাইছড়ি থানার মরিশ্যা এলাকায় ছিল। তিনি একজন লাইসেন্সধারী হাতির পালক। ২০১০ সালের পরে লাইসেন্স প্রভিশন হলে তিনি পুনরায় লাইসেন্স করেন। তবে তিনি স্থায়ীভাবে তখন বাঘাইছড়ি থাকতেন না। দুই-চারদিন থেকে আবার মৌলভীবাজার চলে যেতেন। তার বৈধভাবে মোট ছোট বড় ১২ টি হাতি আছে। তবে স্থানীয় তথ্যানুযায়ী তার আরও ২৪ থেকে ২৫টি রেজিষ্ট্রেশনবিহীন হাতি রয়েছে। যা দিয়ে তিনি বিয়ে বাড়িতে ভাড়াসহ পাহাড়ি এলাকায় গাছ টানার কাজ করেন। পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন বন্যপ্রানীর চামড়া, হাতির দাত সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে সংরক্ষণ করে আসছিলেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।