ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিশু নিপীড়নের মামলায় মাদরাসা অধ্যক্ষসহ ২ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
শিশু নিপীড়নের মামলায় মাদরাসা অধ্যক্ষসহ ২ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম: শিশুকে যৌন নিপীড়নের পৃথক মামলায় এক মাদরাসার অধ্যক্ষসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুলান-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা পৃথক রায়ে এ আদেশ দেন।

দণ্ডিত দুই আসামী হলেন, মাকসুদুর রহমান (২৮) ও জোবায়ের হোসেন (২৭)।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানানা, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত পৃথক রায়ে দুই আসামিকে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

একই সঙ্গে আদালত দুই আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।  

মামলা দুটির নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর পতেঙ্গা এলাকায় পাঁচ বছর বয়সী শিশু তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সামনে মোবাইলে গেম খেলছিল। সেদিন জামিয়াতুল মদিনা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাকসুদ ওই শিশুকে তার বড় ভাইয়ের সামনে থেকে ডেকে মাদ্রাসায় নিয়ে যান। এরপর মাদরাসায় তার নিজ রুমে নিয়ে ওই শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুর বাবা আসামি মাকসুদের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।   

পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৭ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২২ সালের ২ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মাদরাসার আরেক শিক্ষককে খালাস দিয়েছেন আদালত।  

অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ৬ জুলাই নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন আসামি জুবায়ের। তারা দুজনই ওই এলাকার একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা পাঁচলাইশ থানায় জুবায়েরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
এমআই/এমআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।