ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কলম দিয়ে শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন নজরুল’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
‘কলম দিয়ে শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন নজরুল’ ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: অসাম্প্রদায়িক চেতনার নজরুলের মধ্যে কখনো আপোষের মনোভাব ছিলো না। তারই বহিঃপ্রকাশ নজরুলের সাংবাদিক সত্তা এবং ধূমকেতু সম্পাদনা।

তিনি ধূমকেতুর সম্পাদকীয়তে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ভাব তুলে ধরেছেন। কলমের ধার দিয়ে শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন কবি নজরুল।
 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার শতবর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘ধূমকেতু পত্রিকার শতবর্ষ: ফিরে দেখা’ শীর্ষক সেমিনার এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া আলোচনা করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ, দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক ছড়াকার রাশেদ রউফ।

ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকতা এবং জনমত পরস্পর নির্ভরশীল। জনমত গঠনে সংবাদপত্র সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সত্য সংবাদ প্রকাশ করা, ন্যায় ও সত্যের জন্য অবিরাম সংগ্রাম করা, শাসক শ্রেণীর নির্দেশের কাছে মাথা নত না করা, মেহনতি মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রামের সমর্থনে দাঁড়ানো অত্যাচারিত-উৎপীড়িত মানুষের কন্ঠে প্রতিরোধের ভাষা দেওয়া, গণতন্ত্রের জন্য এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করা- এ সবই হচ্ছে সংবাদপত্রের সামাজিক দায়িত্ব। উপনিবেশিক শাসনামলে আজ থেকে একশ বছর পূর্বে ১৯২২ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ধূমকেতু সেই দায়িত্বই পালন করেছিল।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, নজরুলের চেতনা এবং কাজ নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। নজরুলকে যতোই চর্চা করা হবে ততোই নতুন করে জানা যাবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ, ইতিহাস বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত। এসব বিভাগে আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিক্ষক আছেন। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩ 
এমএ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।