চট্টগ্রাম: শত ব্যস্ততা আর যানজট নেই, বন্দরনগর চট্টগ্রাম এখন কার্যত ফাঁকা। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে লম্বা ছুটিতে শহর ছেড়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন অনেকে।
নগরের আগ্রাবাদ, জিইসি, দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, চককাজার, আন্দরকিল্লা সহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের চলাচল কম।
রিকশাচালক সায়মান আলী বাড়ি যাননি। রিকশা চালাচ্ছেন ফাঁকা রাস্তায়। তিনি জানান, সকাল ৮টা থেকে যাত্রী নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন। যাত্রীরা কেউ ঈদ বখশিস দেয়, কেউ দেয় না। তবে যানজট না থাকায় রাস্তায় রিকশা চালাতে ভালো লাগছে, শুধু কষ্ট দিচ্ছে গরম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের অধীন এলাকাগুলোর জনসংখ্যা ৩২ লাখের বেশি। ঘরবাড়ির সংখ্যা দুই লাখের অধিক। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ধরে নেওয়া হয়, ঈদের সময়ে অর্ধেকের বেশি মানুষ গ্রামে চলে যায়।
ফাঁকা নগরের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থানা পুলিশের পাশাপাশি টহলে রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াতের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ আগের ন্যায় প্রস্তুত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
এবার ঈদের ছুটি ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের ছুটি। সব মিলিয়ে টানা ৫ দিন ছুটি থাকছে। এরপর চিরচেনা রূপে ফিরবে চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
এসএস/এসি/টিসি