ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নওফেলসহ চট্টগ্রামে এখনো অস্ত্র জমা দেননি যারা

সৈয়দ বাইজিদ ইমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
নওফেলসহ চট্টগ্রামে এখনো অস্ত্র জমা দেননি যারা

চট্টগ্রাম: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার মধ্যে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে এসব অস্ত্রকেও অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 সেই নির্দেশনা অমান্য করে এখনো সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ বেশ কয়েকজন অস্ত্র জমা দেননি।  

আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে চট্টগ্রামে ৭৩২টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল।

নির্ধারিত সময়ে জমা পড়েনি ৫৬টি অস্ত্র। এরমধ্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন সংসদ সদস্য তিনজন, সাবেক পৌর মেয়র একজন, ব্যবসায়ী একজন এবং সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা রয়েছে দুইজন।  

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার আমলে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বুধবার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অস্ত্র জমা দেননি যারা-সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নামে থাকা পিস্তল ও শটগান, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আল মামুনের নামে থাকা পিস্তল, চট্টগ্রাম-২ (মীরসরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের পিস্তল ও তার ভাই সাবেদ উর রহমানের পিস্তল, বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর এক নলা বন্দুক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সহিদুল ইসলাম শামীমের শটগান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আরশাদ আলী খান রিংকুর এক নলা বন্দুক ও রাউজানে ডাবুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরীর নামে থাকা শটগান ও পিস্তল জমা দেননি।  

জানা গেছে, অস্ত্র জমা না দেওয়া যুবলীগ নেতা সহীদুল ইসলাম শামীমের বিরুদ্ধে সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আমিনুল ইসলাম স্বপন, হালিশহরের যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন লেদু ও যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মুরাদ হত্যার মামলা রয়েছে। এছাড়া দেওয়ানহাটের গুলশান গার্মেন্টস থেকে ২৭ লাখ টাকা ডাকাতি মামলার আসামিও তিনি। তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। এরপরও ২০১৭ সালের ১৮ জুন পিস্তল ও ২৫ সেপ্টেম্বর শটগানের লাইসেন্স পান তিনি।  

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের তালিকা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার মধ্যে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু এখনো অনেকে অস্ত্র জমা দেননি। ৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। অস্ত্রগুলো উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।