ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শাটডাউনে অচল সিভাসু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২৪
শাটডাউনে অচল সিভাসু ...

চট্টগ্রাম: নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক কার্যক্রম।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে তৃতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষক ডা. রিদুয়ান পাশা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের উদ্ভাবিত পিবিএল, ইন্টার্নশিপ, সিলেবাস দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে। এমন অনন্য সিস্টেম যাদের আইডিয়ায় আসে তাদের ওপর ভার্সিটির নেতৃত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না। সিভাসু থেকে ভিসি নিয়োগে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। আমরা পড়ালেখার পরিবেশ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন আশাকরি।

নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ওই দিন শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ, ৩ অক্টোবর ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট ও অবস্থান কর্মসূচি, ৪ অক্টোবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল, ৫ অক্টোবর রোড ব্লক, ৬ অক্টোবর টোটাল শাটডাউন ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসি নিয়োগের আল্টিমেটাম এবং ৭ অক্টোবর শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী সবাই একসাথে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন এবং সম্পূর্ণ সিভাসু পরিবারের পক্ষ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। টানা এক সপ্তাহ আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার পরেও অভ্যন্তরীণ ভিসি নিয়োগের কোনো সুরাহা না হওয়ায় ৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রেস কনফারেন্স করে বিকেল ৫টায় ভিসির বাসভবন ও ভিসির অফিসে তালা দেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার তাসিন বলেন, টানা আন্দোলন সংগ্রামের পরেও সংশ্লিষ্ট মহলের টনক নড়ছে না। মুরগির ফার্ম থেকে ভেটেরিনারি কলেজ, পরে সেখান থেকে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়- এই যে ২৯ বছরের দীর্ঘ একটি সংগ্রাম, ইতিহাস, এই সংগ্রামের অগ্রপথিক যারা তাদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগে কী এমন অসুবিধা? উনাদের অনেক ছাত্র বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাককালীন সময়ের এই শিক্ষকেরা নিজেদের ভার্সিটির উপাচার্য হয়ে আসলে ক্যাম্পাসের উন্নয়ন, ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যকার সম্পর্ক বৃদ্ধি সহ পুরো বিশ্বে ভেটেরিনারি শিক্ষায় বাংলাদেশ সিভাসুর মাধ্যমে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। পূজার বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্ধ হওয়ার আগেই যেন সিভাসুতে অভ্যন্তরীণ ভিসি নিয়োগ হয় নয়তো আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৪
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।