চট্টগ্রাম: দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্যে চলছে মহাসপ্তমী। সকাল থেকে নগরীর মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান ও মহাপ্রসাদ গ্রহণ চলছে।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান, দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দ্বীপ দিয়ে পুজো করেন ভক্তরা। সপ্তমী পুজো উপলক্ষে একই দিন সন্ধ্যায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন মণ্ডপে ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, নগরীর জেএমসেন হল, রামকৃষ্ণ মিশন, কৈবল্যধাম, হাজারী গলি, গোসাইল ডাঙা, কুসুম কুমারী বিদ্যালয়, চেরাগি পাহাড়সহ বিভিন্ন মণ্ডপের প্রবেশ চলছে পূজা আর্চনা।
শুক্রবার মহাঅষ্টমীতে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। যে জগতমাতাকে (দেবী দুর্গা) সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আরাধনা করে তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন। এ উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত করার জন্যই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দুর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য।
দুর্গাপূজার সার্বিক বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। তবে কিছুটা উদ্বেগ আছেই। তাই আমরা প্রতিটি মণ্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন ও সব মণ্ডপ সিসি ক্যামরার আওতায় আনার ব্যবস্থা করছি।
চট্টগ্রামে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২ হাজার ৪৫৮টি মণ্ডপে। এর মধ্যে মহানগরে ২৯৩টি ও জেলার ১৫টি উপজেলায় পূজামণ্ডপ রয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি। জেলার ১৫টি উপজেলায় ২ হাজার ১৬৫টি মণ্ডপের মধ্যে প্রতীমা পূজা ১ হাজার ৫৯৪টি বাকিগুলো ঘটপূজা। পূজামণ্ডপের মধ্যে আনোয়ারা উপজেলায়া ২৯৯টি, কর্ণফুলীতে ২৮টি, মিরসরাইয়ে ৯০টি, সীতাকুণ্ডে ৬৭টি, সন্দ্বীপ ৩০টি, ফটিকছড়িতে ১২৩টি, হাটহাজারীতে ১১৪টি, রাউজানে ২২৮টি, রাঙ্গুনিয়ায় ১৬১টি, বোয়ালখালীতে ১৪৬টি, পটিয়ায় ১৯৫টি, চন্দনাইশে ১২৮টি, সাতকানিয়ায় ১৮৪টি, লোহাগাড়ায় ১১১টি, বাঁশখালীতে ২৫০টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
এমআর/টিসি